+88 01737 325759
info@poralekha24.com
হোম » লেকচারসমূহ » জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (তৃতীয় অধ্যায় - সংখ্যা পদ্বতি ও ডিজিটাল ডিভাইস)

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (তৃতীয় অধ্যায় - সংখ্যা পদ্বতি ও ডিজিটাল ডিভাইস)



প্রশ্নঃ সংখ্যা পদ্ধতি কী? সংখ্যা পদ্ধতি কত প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে সংখ্যা লেখা ও প্রকাশ করার পদ্ধতিকে সংখ্যা পদ্ধতি বা Number System বলে।

সংখ্যা পদ্ধতি প্রধানত দুই প্রকারঃ

  •           নন পজিশনাল(অস্থানিক) সংখ্যা পদ্ধতি (Non-Positional Number System)
  •          পজিশনাল(স্থানিক) সংখ্যা পদ্ধতি (Positional Number System)

 

প্রশ্নঃ Digit বা অঙ্ক কী?

উত্তরঃ কোনো সংখ্যা পদ্ধতি লিখে প্রকাশ করার জন্য যে সমস্ত সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে ডিজিট বা অঙ্ক বলে। যেমন – বাইনারি সংখ্যা প্রকাশ করার জ  ন্য 0 ও 1 ব্যবহার করা হয়।

 

প্রশ্নঃ সংখ্যা পদ্ধতির Base বা ভিত্তি কী?

উত্তরঃ কোনো সংখ্যা পদ্ধতিতে যতগুলো মৌলিক প্রতীক বা সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহৃত হয় তার মোট সংখ্যাকে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বলে।

যেমন – বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে দুইটি মৌলিক প্রতিক ব্যবহৃত হয়।  সুতরাং বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হল ২। আবার, দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট ১০ টি মৌলিক প্রতিক ব্যবহার করা হয়। সুতরাং দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হল ১০।

 

প্রশ্নঃ নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যার মান সংখ্যায় ব্যবহৃত অঙ্কসমূহের অবস্থানের উপর নির্ভর করে না তাকে নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। প্রচীনকালে ব্যবহৃত হায়ারোগ্লিফিক্স, মেয়ান, রোমান ইত্যাদি হল নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতির উদাহারণ।

 

প্রশ্নঃ পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বা অবস্থানগত সংখ্যা পদ্বতি কী?

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যার মান সংখ্যায় ব্যবহৃত অঙ্কসমূহের পজিশন বা অবস্থানের উপর নির্ভর করে তাকে পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে


প্রশ্নঃ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ Deci শব্দের অর্থ হলো ১০। যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ১০ টি মৌলিক প্রতীক বা সাংকেতিক চিহ্ন (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯) ব্যবহার করা হয় তাকে ডেসিমেল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন – ১০০১০ একটি দশমিক সংখ্যা।দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট ১০টি প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় বলে এর ভিত্তি বা Base হলো ১০।

 

প্রশ্নঃ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ Bi শব্দের অর্থ হলো ২। যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ২ টি মৌলিক প্রতীক বা সাংকেতিক চিহ্ন (০ ও ১) ব্যবহার করা হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন – ১০১০একটি বাইনারি সংখ্যা। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে ২টি প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় বলে এর ভিত্তি বা Base হলো ২।

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ০ এবং ১ এই দুটি মৌলিক চিহ্নকে বিট বলে এবং আট বিটের গ্রুপ নিয়ে গঠিত হয় বাইট।

 

প্রশ্নঃ অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ Octa শব্দের অর্থ হলো ৮। যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮টি মৌলিক প্রতীক বা সাংকেতিক চিহ্ন (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭) ব্যবহার করা হয় তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন – ১২০একটি অক্টাল সংখ্যা। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট ৮টি প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় বলে এর ভিত্তি বা Base হলো ৮।

অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিকে তিন বিট সংখ্যা পদ্ধতিও বলে কারণ অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ০ থেকে ৭ পর্যন্ত মোট ৮টি প্রতীক বা চিহ্নকে বাইনারি তিনটি বিটের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়।   

 

প্রশ্নঃ হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তরঃ হেক্সা শব্দের অর্থ হলো ৬ আর ডেসিমেল শব্দের অর্থ হলো ১০। সুতরাং যে সংখা পদ্ধতিতে ১৬ টি মৌলিক প্রতীক (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E, F) ব্যবহার করা হয় তাকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন- ১২০৯16 একটি হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট ১৬টি প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় বলে এর ভিত্তি  বা Base হলো ১৬। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিকে চার বিট সংখ্যা পদ্ধতিও বলে কারণ হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ০ থেকে F পর্যন্ত মোট ১৬টি প্রতীক বা চিহ্নকে বাইনারি চারটি বিটের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়।

 

প্রশ্নঃ বিট (Bit) কী?

উত্তরঃ Binary Digit শব্দটির সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে বিট (Bit)। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির 0 এবং 1 এই দুটি মৌলিক অঙ্ককে বিট বলে।

 

প্রশ্নঃ বাইট (Byte) কী?

উত্তরঃ বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির 0 এবং 1 এই দুটি মৌলিক অঙ্ককে বিট বলে। আটটি বিটের গ্রুপ নিয়ে গঠিত শব্দকে বাইট বলা হয়। এক বাইটকে নিম্নরুপে উপস্থাপন করা যায় -

 

0

1

1

1

0

1

1

1

 

প্রশ্নঃ নিবল (Nibble) কী?

উত্তরঃ এক বাইটের অর্ধেককে নিবল বলা হয়।

 



প্রশ্নঃ শব্দ (Word) কী?

উত্তরঃ কম্পিউটারের প্রসেসর একসাথে যতগুলো বিটকে প্রসেস করতে সক্ষম তাকে Word বা কম্পিউটার শব্দ বলে। ৩২ বিট প্রসেসর মানে এই প্রসেসর একসাথে ৩২ টি প্রসেস করতে পারে।

 

প্রশ্নঃ র‍্যাডিক্স পয়েন্ট কী?

উত্তরঃ যে পয়েন্ট দিয়ে প্রতিটি সংখ্যাকে পূর্ণাংশ ও ভগ্নাংশ এই দুইভাগে বিভক্ত করা হয় তাকে র‍্যাডিক্স পয়েন্ট বলে।

 

প্রশ্নঃ চিহ্নযুক্ত সংখ্যা কী?

উত্তরঃ কোনো সংখ্যার পূর্বে ধনাত্মক (+) বা ঋনাত্মক (-) চিহ্ন থাকলে সেই সংখ্যাকে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা বলে।

 

প্রশ্নঃ চিহ্ন বিট (Signed Bit) কী?

উত্তরঃ বাইনারি পদ্বতিতে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা উপস্থাপনের জন্য প্রকৃত মানের পূর্বে একটি অতিরিক্ত বিট যোগ করা হয়। এ অতিরিক্ত বিটকে চিহ্ন বিট বলে।

 

প্রশ্নঃ রেজিস্টার কী?

উত্তরঃ রেজিস্টার হলো এক প্রকার মেমোরি ডিভাইস যা একগুচ্ছ ফ্লিপ-ফ্লপ এবং গেইট এর সমন্বয়ে গঠিত সার্কিট যেখানে প্রত্যকটি ফ্লিপ-ফ্লপ একটি করে বাইনারি বিট ধারণ করে।

 

প্রশ্নঃ ১-এর পরিপূরক কী?

উত্তরঃ কোনো বাইনারি সংখ্যার প্রতিটি বিটকে পূরক করে বা উল্টিয়ে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে ১-এর পরিপূরক বলে।

 

প্রশ্নঃ ২-এর পরিপূরক কী?

উত্তরঃ কোনো বাইনারি সংখ্যার ১-এর পরিপূরক এর সাথে বাইনারি ১ যোগ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে ২-এর পরিপূরক বলে।

 

প্রশ্নঃ বিপরীতকরণ বা নিগেশন কী?

উত্তরঃ কোনো ধনাত্মক সংখ্যাকে ঋনাত্মক বা কোনো ঋনাত্মক সংখ্যাকে ধনাত্মক সংখ্যায় পরিবর্তন করাকে নিগেশন (Negation) বা বিপরীতকরণ বলে।

 

প্রশ্নঃ ক্যারি বিট কী?

উত্তরঃ দুটি সংখ্যা যোগ করার সময়, প্রতিটি সংখ্যার কলাম ডান থেকে বামে ক্রমানুসারে যোগ করা হয় এবং যদি কোনো কলামের যোগফল সর্বোচ্চ সংখ্যার মানের থেকে বেশি হয়, তাহলে পরবর্তী কলামে একটি ক্যারি যোগ করা হয়। বাইনারিতে, সবচেয়ে বড় অঙ্ক হল 1, তাই 1-এর থেকে বড় যেকোনো যোগফল একটি ক্যারিতে পরিণত হবে।

 

প্রশ্নঃ কোড কী?

উত্তরঃ গাণিতিক চিহ্ন, সংখ্যা বা অক্ষরকে অদ্বিতীয় হিসাবে বাইনারিতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে কোড (code) বলে।

 

প্রশ্নঃ এনকোডিং (Encoding) কী?

উত্তরঃ মানুষের বোধগম্য ভাষাকে (দশমিক) কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় (বাইনারি) রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে এনকোডিং বলে।

 

প্রশ্নঃ ডিকোডিং (Decoding) কী?

উত্তরঃ কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষাকে (বাইনারি) মানুষের বোধগম্য ভাষায় (দশমিক) রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে ডিকোডিং বলে।

 

প্রশ্নঃ অক্টাল কোড কী

উত্তরঃ অক্টাল কোড হলো তিন বিটের বাইনারি কোড অর্থাৎ ৩ বিট বিশিষ্ট বাইনারি কোডকে অক্টাল কোড বলা হয়।

যেমন – ৪৬১০ = ৫৬= ১০১১১০ (অক্টাল কোড)

 

প্রশ্নঃ হেক্সাডেসিমেল কোড কী?

উত্তরঃ হেক্সাডেসিমেল কোড হলো চার বিটের বাইনারি কোড অর্থাৎ ৪ বিট বিশিষ্ট বাইনারি কোডকে হেক্সাডেসিমেল কোড বলে। যেমন – ৩৭১০ = ২৫১৬ = ০০১০০১০১ (হেক্সাডেসিমেল কোড)।

 

প্রশ্নঃ বিসিডি কোড কী?

উত্তরঃ BCD এর পূর্ণরুপ হলো Binary Coded Decimal. ডেসিমেল সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে সমতুল্য চার বিট বাইনারি দ্বারা উপস্থাপন করার পর প্রাপ্ত কোডকে বিসিডি কোড বলে।

 

প্রশ্নঃ আলফানিউমেরিক কোড কী?

উত্তরঃ বর্ণ, অঙ্ক এবং বিভিন্ন গাণিতিক চিহ্নসহ (+,-,*,/) আরও কতকগুলো বিশেষ চিহ্নের (!, @, #, %, &, $) জন্য ব্যবহৃত কোডকে আলফানিউমেরিক কোড বলে।

 

প্রশ্নঃ EBCDIC এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তরঃ EBCDIC এর পূর্ণরূপ হল Extended Binary Coded Decimal Interchange Code.

 

প্রশ্নঃ অ্যাসকি কোড কী?

উত্তরঃ বর্ণ, অঙ্ক, গাণিতিক ও বিশেষ চিহ্নকে কোড করার জন্য অ্যাসকি যে কোড নির্ধারণ করে তাকে অ্যাসকি কোড বলে।

 

প্রশ্নঃ ইউনিকোড কী?

উত্তরঃ বিশ্বের সকল ভাষার সকল বর্ণ, অঙ্ক, গাণিতিক চিহ্নসহ অন্যান্য চিহ্নকে একটি একক নাম্বার দেওয়ার ব্যবস্থাকে ইউনিকোড বলে। ইউনিকোড হল ১৬ বিটের কোড।

 

প্রশ্নঃ ডিজিটাল সিস্টেম কী?

উত্তরঃ যে পদ্বতিতে সংখ্যা বা ডিজিটের মাধ্যমে সব কিছু প্রকাশ করা হয় তাকে ডিজিটাল বা সংখ্যাত্মক পদ্বতি বা ডিজিটাল সিস্টেম বলে।

 

প্রশ্নঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরা কী?

উত্তরঃ যৌক্তিক চলক ও যুক্তিমূলক অপারেশনসমূহের সহযোগে গঠিত গণিতি হলো বুলিয়ান বীজগণিত।

 

প্রশ্নঃ বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ব কী?

উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যৌক্তিক যোগ ও যৌক্তিক গুনের সাহায্যে সকল গাণিতিক কাজ সমাধান করা হয়। যোগ ও গুনের জন্য বুলিয়ান অ্যালজেবরায় বিশেষ কিছু নিয়ম সত্য হিসেবে মেনে নেওয়া হয়। এই নিয়মগুলোকে বুলিয়ান স্বীকার্য বা স্বতঃসিদ্ধ বলা হয়।

 

প্রশ্নঃ বুলিয়ান ধ্রুবক কী?

উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যে রাশির মান অপরিবর্তনশীল থাকে তাকে বুলিয়ান ধ্রুবক বলে। যেমন – Y = A + 0 + 1. এখানে 0 ও 1 হচ্ছে বুলিয়ান ধ্রুবক ।

 

প্রশ্নঃ বুলিয়ান চলক কী?

উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যে রাশির মান পরিবর্তনশীল থাকে তাকে বুলিয়ান ধ্রুবক বলে। যেমন – C = A + B. এখানে A ও B হচ্ছে বুলিয়ান চলক।

 

প্রশ্নঃ বুলিয়ান পূরক কী?

উত্তরঃ বুলিয় বীজগণিতে চলকের দুইটি সম্ভাব্য মান 0 এবং 1। এদের একটিকে অপরটির পূরক বলা হয়। অর্থাৎ 1 এর পূরক 0 এবং 0 এর পূরক 1।

 

প্রশ্নঃ দ্বৈত নীতি কী?

উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরায় ব্যবহৃত সকল উপপাদ্য বা সমীকরণ যে দুটি নিয়ম মেনে একটি বৈধ সমীকরণ থেকে অপর একটি বৈধ সমীকরণ নির্ণয় করা যায় তাকে বুলিয়ান দ্বৈত নীতি বলে। নিয়ম দুটি হল –

 1. 0 এবং 1 পরস্পর বিনিময় করে। অর্থাৎ 0 থাকলে 1 এবং 1 থাকলে 0 হয়।

2. অপারেটর OR (+) এবং AND(.) পরস্পর বিনিময় করে।

যেমনঃ AB + BC = (A+B) . (B+C) আবার, XY + YZ = 1 হলে দ্বৈত নীতির নিয়ম অনুসারে লেখা যায় – (X+Y) . (Y+Z) = 0।

 

প্রশ্নঃ সত্যক সারণি কী?

উত্তরঃ যে সারণির মাধ্যমে বুলিয়ান সমীকরণে চলকসমূহের বিভিন্ন মানবিন্যাসের জন্য বিভিন্ন আউটপুট প্রদর্শন করা হয় তাকে সত্যক সারণি বলে।

 

প্রশ্নঃ মিনটার্ম কী?

উত্তরঃ সত্যক সারণিতে ব্যবহৃত ইনপুট বিন্যাসসমূহের গুনফলকে বলা হয় মিনটার্ম।

 

প্রশ্নঃ ম্যাক্সটার্ম কী?

উত্তরঃ সত্যক সারণিতে ব্যবহৃত ইনপুট বিন্যাসসমূহের যোগফলকে বলা হয় ম্যাক্সটার্ম।

 

প্রশ্নঃ ডি-মরগ্যানের উপপাদ্য কী?

উত্তরঃ ফরাসি গণিতবিদ ডি-মরগান বুলিয় বীজগণিতের উপর দুটি প্রয়োজনীয় সূত্র দেন। সূত্র দুটিকে ডি-মরগ্যানের উপপাদ্য বলা হয়।


প্রশ্নঃ লজিক গেইট বা গেইট কী?

উত্তরঃ লজিক গেইট হল এক ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স সার্কিট যা এক বা একাধিক  ইনপুট গ্রহণ করে এবং একটি মাত্র আউটপুট প্রদান করে।

 

প্রশ্নঃ মৌলিক গেইট কী?

উত্তরঃ যে সকল গেইট দ্বারা বুলিয়ান অ্যালজেবরার মৌলিক অপারেশনগুলো বাস্তবায়ন করা যায় তাদেরকে মৌলিক গেইট বলে।

 

প্রশ্নঃ অর গেইট কী?

উত্তরঃ যে গেইট দিয়ে বুলিয়ান অ্যালজেবরার যৌক্তিক যোগের অপারেশন বাস্তবায়ন করা হয় তাকে অর গেইট বলে।

 

প্রশ্নঃ অ্যান্ড গেইট কী?

উত্তরঃ যে গেইট দিয়ে বুলিয়ান অ্যালজেবরার যৌক্তিক গুনের অপারেশন বাস্তবায়ন করা হয় তাকে অ্যান্ড গেইট বলে।

 

প্রশ্নঃ নট গেইট কী?

উত্তরঃ যে গেইট দিয়ে বুলিয়ান অ্যালজেবরার যৌক্তিক পূরকের অপারেশন বাস্তবায়ন করা হয় তাকে নট গেইট বলে।

 

প্রশ্নঃ ইনভার্টার কী?

উত্তরঃ নট গেইটকে ইনভার্টার বলা হয়। কারণ, নট গেইট এ যে ইনপুট দেওয়া হয় আউটপুট হয় তার বিপরীত।

 

প্রশ্নঃ যৌগিক গেইট কী?

উত্তরঃ দুই বা ততোধিক মৌলিক গেইটের সমন্বয়ে যে গেইট তৈরি হয় তাকে যৌগিক গেইট বলে।

 

প্রশ্নঃ সর্বজনীন গেইট কী?

উত্তরঃ যে গেইট এর সাহায্যে মৌলিক গেইটসহ যে কোনো গেইট এবং যে কোনো সার্কিট বাস্তবায়ন করা যায় তাকে সর্বজনীন গেইট বলে।

 

প্রশ্নঃ NAND গেইট কী?

উত্তরঃ NAND গেইট একটি যৌগিক গেইট যা AND ও NOT গেইটের সমন্বয়ে তৈরি। AND গেইটের আউটপুট NOT গেইটের মধ্যে প্রবাহিত করলে NAND গেইট পাওয়া যায়।

 

প্রশ্নঃ NOR গেইট কী?

উত্তরঃ NOR গেইট একটি যৌগিক গেইট যা OR ও NOT গেইটের সমন্বয়ে তৈরি। OR গেইটের আউটপুট NOT গেইটের মধ্যে প্রবাহিত করলে NOR গেইট পাওয়া যায়।

 

প্রশ্নঃ X-OR গেইট কী?

উত্তরঃ X-OR গেইট একটি যৌগিক গেইট যা AND, OR ও NOT গেইটের সমন্বয়ে তৈরি। X-OR গেইটে ইনপুটে বিজোড় সংখ্যক 1 থাকলে আউটপুটে 1 হয়, অন্যথায় 0 হয়।

 

প্রশ্নঃ X-NOR গেইট কী?

উত্তরঃ X-NOR গেইট একটি যৌগিক গেইট যা AND, OR ও NOT গেইটের সমন্বয়ে তৈরি। X-OR গেইটের আউটপুট NOT গেইটের মধ্যে প্রবাহিত করলে X-NOR গেইট পাওয়া যায়।

 

প্রশ্নঃ বাফার গেইট কী?

উত্তরঃ যে গেইট এর মধ্য দিয়ে যে ইনপুট দেওয়া হয় যদি আউট হিসাবে তাই আসে তবে তাকে বাফার গেইট বলে। সাধারণত দুর্বল সিগন্যালকে সবল বা অ্যামপ্লিফাই করতে বাফার গেইট ব্যবহার করা হয়।

 

প্রশ্নঃ এনকোডার কী?

উত্তরঃ যে লজিক সার্কিট মানুষের ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য যান্ত্রিক ভাষায় রুপান্তর করে তাকে এনকোডার বলে। একটি এনকোডারে সর্বোচ্চ 2n সংখ্যক ইনপুট এবং n সংখ্যক আউটপুট থাকে।

 

প্রশ্নঃ ডিকোডার কী?

উত্তরঃ যে লজিক সার্কিট কম্পিউটারের বোধগম্য যান্ত্রিক ভাষাকে মানুষের ভাষায় রুপান্তর করে তাকে ডিকোডার বলে। ডিকোডারে ইনপুট এর n সংখ্যা হলে আউটপুট সংখ্যা 2n হয়।

 

প্রশ্নঃ ফ্লিপ – ফ্লপ কী?

উত্তরঃ ফ্লিপ – ফ্লপ হল লজিক গেইট দিয়ে তৈরি এক ধরনের মেমোরি উপাদান, যা একটি মাত্র বিট ধারণ করতে পারে।

 

প্রশ্নঃ অ্যাডার কী?

উত্তরঃ যে সার্কিট দ্বারা যোগের কাজ সম্পন্ন হয় তাকে অ্যাডার বা যোকের বর্তনী বলে।

 

প্রশ্নঃ হাফ-অ্যাডার বা অর্ধযোগের বর্তনী কী?

উত্তরঃ যে সমবায় বর্তনী দুটো বিট যো করে যোগফল ও হাতে থাকা সংখ্যা বা ক্যারি বের করতে পারে তাকে হাফ অ্যাডার বলে।

 

প্রশ্নঃ ফুল অ্যাডার বা পূর্ণ যোগের বর্তনী কী?

উত্তরঃ যে সমবায় বর্তনী দুটো বিট ছাড়াও পূর্ব সার্কিটের ক্যারি যোগ করে যোগফল ও হাতে থাকা সংখ্যা বা ক্যারি বের করতে পারে তাকে ফুল-অ্যাডার বলে।

 

প্রশ্নঃ রেজিস্টার কী?

উত্তরঃ রেজিস্টার হল একগুচ্ছ ফ্লিপ-ফ্লপ এবং লজিক্যাল গেইট এর সমন্বয়ে গঠিত সার্কিট যা অস্থায়ী মেমোরি হিসাবে কাজ করে।

 

প্রশ্নঃ কাউন্টার কী?

উত্তরঃ যে সার্কিট তার ইনপুটে দেওয়া পালসের সংখ্যা গণনা করতে পারে তাকে কাউন্টার বলে।

 

প্রশ্নঃ কাউন্টারের মোড কী?

উত্তরঃ একটি কাউন্টার সর্বাধিক যতগুলো সংখ্যা গুনতে পারে তাকে মডিউলাস বা মোড নাম্বার বলে।


মোঃ আবু সাঈদ

মোঃ আবু সাঈদ

প্রভাষক (আইসিটি)

একজন দক্ষ, উদ্ভাবনী এবং প্রযুক্তি-বান্ধব আইসিটি শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তি জ্ঞানের বিকাশ এবং ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিবেদিত। কম্পিউটার বিজ্ঞান, প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল লিটারেসি এবং আধুনিক সফটওয়্যার/হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানে অভিজ্ঞ। শিক্ষার্থীদের বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী উপযোগী পাঠ পরিকল্পনা তৈরি এবং বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনায় দক্ষ। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং, গুগল ও মাইক্রোসফট অ্যাপ্লিকেশন, PHP, C/C++, JavaScript, পাইথন, এইচটিএমএল/সিএসএস সহ বিভিন্ন ডিজিটাল টুল ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে পারদর্শী।

আইসিটি কোচিং সেন্টার

banner image

সাজানো-গুছানো এবং কোয়ালিটিফুল ক্লাস কন্টেন্ট দ্বারা অফলাইন অথবা অনলাইনে এইচএসসি ও আলিম শিক্ষার্থীদের আইসিটি কোচিং করানো হয়।

আমাদের সম্পর্কে

শিক্ষার্থীদের সুসংগঠিত এবং গুণগত ক্লাস কন্টেন্ট যা পরীক্ষার ভাল ফলাফল এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেয়।

লিংকসমূহ

  • হোম
  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ
  • লগইন
  • রেজিস্টার

সার্ভিস

  • আইসিটি কোর্স
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • নেটওয়ার্কিং

কপিরাইট © 2025 - 2025 Poralekha24.com. All rights reserved.