প্রশ্নঃ অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগে কেন? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ ক্যারেক্টর বাই ক্যারেক্টর ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা প্রেরক হতে প্রাপকে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয়। এ ধরনের ট্রান্সমিশনে প্রেরক যে কোনো সময় ডেটা প্রেরণ করতে পারে এবং প্রাপক তা গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য প্রেরকের কোন প্রাথমিক স্টোরেজে ডেটা সংরক্ষনের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি ক্যারেক্টারের শুরুতে একটি স্টার্ট বিট এবং শেষে একটি স্টপ বিট যোগ করে পাঠানো হয়। ফলে মূল ডেটার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে প্রতিটি ক্যারেক্টার পাঠানোর মাঝখানের সময়ের ব্যবধান ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। অর্থাৎ এই ট্রান্সমিশন মেথডে ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় এবং মূল ডেটার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগে।
প্রশ্নঃ সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে প্রাইমারি মেমোরির প্রয়োজন কেন? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ “সমান বিরতিতে ডেটা ট্রান্সমিশন করা যায়”-ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ “ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হয়” – ব্যাখ্যা কর।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে ডেটা প্রেরক হতে প্রাপকে ব্লক আকারে স্থানান্তরিত হয়। প্রথমে প্রেরক স্টেশনের ডেটাগুলিকে প্রাথমিক স্টোরেজে ডেটাগুলো সংরক্ষণ করে নেওয়া হয়। তারপর ডেটার ক্যারেক্টারগুলোকে ব্লক বা প্যাকেট আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক বা প্যাকেট ট্রান্সমিট করা হয়। দুটি ব্লকের মাঝখানে সময় বিরতি সমান হয়ে থাকে। ব্লক ডেটার শুরুতে এবং শেষে যথাক্রমে হেডার এবং ট্রেইলর ইনফরমেশন থাকে। সাধারণত 80 হতে 132 টি ক্যারেক্টার নিয়ে এক একটি ব্লক তৈরি হয়। অর্থাৎ ডেটা ক্যারেক্টারগুলোকে ব্লক বা প্যাকেট তৈরির জন্য মেমোরির প্রয়োজন হয়।
প্রশ্নঃ ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক কারণ এটি ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুসরণ করে। এতে প্রেরক এবং গ্রহণকারী উভয়ই একই সময়ে ডেটা পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। এর ফলে ডেটার সঠিকতা এবং সম্পূর্ণতা বজায় থাকে। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে, ডেটা প্যাকেটগুলি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পাঠানো হয়, যা যোগাযোগের গতি বাড়ায় এবং লেটেন্সি কমায়। এছাড়াও, এটি উচ্চ গতির নেটওয়ার্কে কার্যকরী, যেখানে ডেটা দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্যভাবে স্থানান্তরিত হয়।
প্রশ্নঃ রেডিও এর ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ যে ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে কেবলমাত্র একদিকে ডেটা প্রেরনের ব্যবস্থা থাকে তাকে সিমপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি শক্তিশালী মাধ্যম হলো রেডিও। এই ব্যবস্থায় রেডিও ট্রান্সমিটার, রেডিও রিসিভার এবং এন্টেনা থাকে। রেডিও কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় রেডিও ট্রান্সমিটার শব্দকে তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গে রূপান্তরিত করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠায়। অপরদিকে এন্টেনার সাহায্যে রেডিও রিসিভার সিগন্যাল গ্রহণ করে তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গকে শব্দ তরঙ্গে রূপান্তর করে। এক্ষেত্রে রেডিও ট্রান্সমিটার কেবলমাত্র সিগন্যাল প্রেরণ এবং রেডিও রিসিভার সিগন্যাল রিসিভ করতে পারে। অর্থাৎ রেডিও কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় একমুখী তথ্য সম্প্রচার বা সিমপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে ডেটা ট্রান্সফার হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ ওয়াকিটকিতে যুগপৎ কথা বলা ও শোনা সম্ভব নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ ওয়াকিটকির ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ওয়াকিটকির ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হচ্ছে হাফ–ডুপ্লেক্স। হাফ–ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে ডেটা উভয় দিকে প্রবাহিত হয় কিন্তু একসাথে নয়। এই মোডে যেকোন প্রান্ত একই সময়ে কেবলমাত্র ডেটা গ্রহণ বা প্রেরন করতে পারে। ডেটা গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ডেটা প্রেরণ করতে পারে অথবা ডেটা প্রেরণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ডেটা গ্রহণ করতে পারে। যেহেতু ওয়াকিটকির ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হচ্ছে হাফ–ডুপ্লেক্স তাই যুগপৎ কথা বলা ও শোনা সম্ভব নয়।
প্রশ্নঃ “ডেটা উভয় দিকে প্রেরণ সম্ভব কিন্তু একই সময়ে নয়” – ব্যাখ্যা কর
উত্তরঃ হাফ-ডুপ্লেক্স মোডে ডেটা উভয় দিকে প্রেরণ সম্ভব কিন্তু একই সময়ে বা যুগপৎ সম্ভব নয়। এই পদ্বতিতে যেকোনো প্রান্ত একই সময়ে কেবলমাত্র ডেটা গ্রহণ বা প্রেরণ করতে পারে কিন্তু গ্রহণ ও প্রেরণ একই সাথে করতে পারে না। হাফ-ডুপ্লেক্স মোডের উদাহারণ হল – ওয়াকি-টকি, ফ্যাক্স, SMS ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকে কোন ট্রান্সমিশন মোডের সাথে তুলনা করা যায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ হাফ-ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে ডেটা উভয় দিকে প্রবাহিত হয় কিন্তু একসাথে নয়। এই মোডে যেকোন প্রান্ত একই সময়ে কেবলমাত্র ডেটা গ্রহণ বা প্রেরন করতে পারে। ডেটা গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ডেটা প্রেরণ করতে পারে অথবা ডেটা প্রেরণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ডেটা গ্রহণ করতে পারে। সাধারণত শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক পাঠদানের সময় শিক্ষার্থীরা নিরব থেকে শুনে অপরপক্ষে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করার সময় শিক্ষক নিরবে শুনে থাকে। অর্থাৎ শ্রেণিকক্ষে উভয়দিকে ডেটা ট্রান্সফার হয় কিন্তু যুগপৎভাবে না। তাই শ্রেণিকক্ষের ডেটা ট্রান্সমিশন মোডকে হাফ-ডুপ্লেক্স মোড এর সাথে তুলনা করা যায়।
প্রশ্নঃ মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হলো ফুল-ডুপ্লেক্স। ফুল-ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে ডেটা একই সময়ে উভয় দিকে প্রবাহিত হয়। এই মোডে একই সময়ে এক সাথে প্রেরক বা প্রাপক ডেটা গ্রহণ এবং প্রেরন করতে পারে। যেমন: মোবাইল ফোন, টেলিফোন ইত্যাদি। বর্তমানে আমরা কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, সেগুলোর সবগুলোই ফুল-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। এসব প্রযুক্তির ফলে প্রেরক ও প্রাপক একই সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে।
প্রশ্নঃ কোন ট্রান্সমিশনে একই সঙ্গে উভয়দিকে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়? - ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ ‘ডেটা আদান ও প্রদান একই সময়ে সম্ভব’- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ফুল-ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে একই সঙ্গে উভয়দিকে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। এই মোডে একই সময়ে এক সাথে প্রেরক বা প্রাপক ডেটা গ্রহণ এবং প্রেরন করতে পারে। যেমন: মোবাইল ফোন, টেলিফোন ইত্যাদি। বর্তমানে আমরা কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, সেগুলোর সবগুলোই ফুল-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। এসব প্রযুক্তির ফলে প্রেরক ও প্রাপক একই সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে।
প্রশ্নঃ ৯৬০০ bps ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ ৯৬০০ bps বলতে বুঝায়, প্রতি সেকেন্ডে ৯৬০০ বিট ডেটা স্থানান্তরিত হয়। প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান ডেটা ট্রান্সফার হয় তাকে ব্যান্ডউইথ বা ট্রান্সমিশন স্পিড বলে। ভয়েস ব্যান্ডের ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড হলো ৯৬০০ bps। ভয়েস ব্যান্ড টেলিফোনে বেশি ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কম্পিউটার থেকে প্রিন্টার বা কার্ড রিডারে ডেটা স্থানান্তরে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ কী-বোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইডথ বুঝিয়ে লেখো।
উত্তরঃ কী-বোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের জন্য ভয়েস ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। ভয়েস ব্যান্ডের ডেটা রেট হলো ১২০০ bps থেকে ৯৬০০ bps। এটি সাধারণত টেলিফোনে বেশি ব্যবহৃত হয় যেখানে ৩০০ থেকে ৩৪০০ Hz ফিকুয়েন্সিতে তথ্য স্থানান্তর করা যায়। কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে অথবা কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটারেও ভয়েস ব্যান্ডে ডেটা স্থানান্তর করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ ব্যান্ডউইথ ১২৮ kbps বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ ব্যান্ডউইথ ১২৮ kbps বলতে বুঝায়, কোন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ১২৮k বিট ডেটা স্থানান্তরিত হয়।
প্রশ্নঃ “ডেটা ট্রান্সমিশনে আলোক রশ্মি পরিবাহী তার উত্তম”-ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ ডেটা চলাচলের জন্য ফাইবার অপটিক ক্যাবল অধিক কার্যকর কেন?
প্রশ্নঃ ডেটা চলাচলের দ্রুততম মাধ্যমটির বর্ণনা দাও।
প্রশ্নঃ সর্বোচ্চ গতির মাধ্যমটি ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ অপটিক্যাল ফাইবারে দ্রুত গতিতে ডেটা আদান-প্রদানের কারণ ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ চৌম্বক প্রভাবমুক্ত ক্যাবলটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তরঃ ডেটা ট্রান্সমিশনে আলোক রশ্মি পরিবাহী তার হচ্ছে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হল এক ধরনের আলো পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার সমন্বয়ে তৈরি। অপটিক্যাল ফাইবার হলো কাঁচ অথবা প্লাস্টিকের তৈরি এক ধরনের ডাই-ইলেকট্রিক (অন্তরক) পদার্থ দ্বারা তৈরি,যা আলো পরিবহনে সক্ষম। এই তার উত্তম হওয়ার কারণ হলো- অপটিক্যাল ফাইবার তড়িৎ চৌম্বক প্রভাব হতে মুক্ত। উচ্চ গতিতে ডেটা ট্রান্সমিশন হয়। পরিবেশের তাপ-চাপ ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয় না। বড় ধরনের নেটওয়ার্কে এই ক্যাবল ব্যাকবোন হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্নঃ ডেটা পরিবহনে ফাইবার অপটিক ক্যাবল নিরাপদ কেন?
উত্তরঃ ফাইবার অপটিক ক্যাবল হল এক ধরনের আলো পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার সমন্বয়ে তৈরি। অপটিক্যাল ফাইবার কাঁচ অথবা প্লাস্টিকের তৈরি এক ধরনের ডাই-ইলেকট্রিক (অন্তরক) পদার্থ দ্বারা তৈরি,যা আলো পরিবহনে সক্ষম। ডেটা পরিবহনে ফাইবার অপটিক ক্যাবল নিরাপদ কারণ- ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল এর পরিবর্তে আলোক সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে। তড়িৎ চৌম্বক প্রভাব হতে মুক্ত। পরিবেশের তাপ-চাপ ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
প্রশ্নঃ আলোর গতির ন্যায় ডেটা প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবলটি ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ “আলোর গতিতে ডেটা ট্রান্সমিশন করা সম্ভব”-ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ আলোর গতিতে ডেটা স্থানান্তর হয় অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হল এক ধরনের আলো পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার সমন্বয়ে তৈরি। অপটিক্যাল ফাইবার কাঁচ অথবা প্লাস্টিকের তৈরি এক ধরনের ডাই-ইলেকট্রিক (অন্তরক) পদার্থ দ্বারা তৈরি,যা আলো পরিবহনে সক্ষম। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ইলেক্ট্রিক্যাল সিগনালের পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে। এতে আলোকের পূর্ণ আভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা উৎস থেকে গন্তব্যে গমন করে। পরিবেশের তাপ-চাপ ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয় না। অত্যাধিক উচ্চ গতিতে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে।
প্রশ্নঃ “অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন বলা হয়”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হল এক ধরনের আলো পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার সমন্বয়ে তৈরি। অপটিক্যাল ফাইবার কাঁচ অথবা প্লাস্টিকের তৈরি এক ধরনের ডাই-ইলেকট্রিক (অন্তরক) পদার্থ দ্বারা তৈরি,যা আলো পরিবহনে সক্ষম। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন বলা হয় কারণ- এই ক্যাবল ইলেক্ট্রিক্যাল সিগনালের পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে। এতে আলোকের পূর্ণ আভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা উৎস থেকে গন্তব্যে গমন করে। পরিবেশের তাপ-চাপ ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয় না। এটি অত্যধিক উচ্চ গতিতে বা আলোর গতিতে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে। একটি নেটওয়ার্কের ব্যাকবোনের মধ্যে দিয়ে দ্রুত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার হতে হয়, যেহেতু অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মধ্য দিয়ে দ্রুত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার হয়। তাই অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন বলা হয়।
প্রশ্নঃ ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল ই এম আই (EMI) মুক্ত কেন?
উত্তরঃ অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হল এক ধরনের আলো পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার সমন্বয়ে তৈরি। অপটিক্যাল ফাইবার কাঁচ অথবা প্লাস্টিকের তৈরি এক ধরনের ডাই-ইলেকট্রিক (অন্তরক) পদার্থ দ্বারা তৈরি, যা আলো পরিবহনে সক্ষম। এটি ইলেকট্রিক সিগনালের পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগন্যাল ট্রান্সমিট করার ফলে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলে কোনো তড়িৎ এর উপস্থিতি নেই। অর্থাৎ অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলে তড়িৎ এর উপস্থিতি না থাকার কারণে ক্যাবলটি ইএমআই (EMI) মুক্ত।
প্রশ্নঃ অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যান্ডউডথ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হল এক ধরনের আলো পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার সমন্বয়ে তৈরি। অপটিক্যাল ফাইবার কাঁচ অথবা প্লাস্টিকের তৈরি এক ধরনের ডাই-ইলেকট্রিক (অন্তরক) পদার্থ দ্বারা তৈরি, যা আলো পরিবহনে সক্ষম। আবার প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান ডেটা(বিট) ট্রান্সফার হয় তাকে ব্যান্ডউইথ বা ট্রান্সমিশন স্পিড বলে। অপটিক্যাল ফাইবারে ব্যান্ডউইথ হচ্ছে 100mbps থেকে 2gbps। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে 100mb ডেটা স্থানান্তরিত হয়।
প্রশ্নঃ আলোর পুর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতেও ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব-ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মধ্য দিয়ে আলোর পুর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হল এক ধরনের আলো পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার সমন্বয়ে তৈরি। অপটিক্যাল ফাইবারে একই পদার্থ দ্বারা তৈরি দুটি ভিন্ন প্রতিসরাঙ্কের আলোক পরিবাহক থাকে। যার ভেতরেরটিকে বলা হয় কোর এবং বাইরেরটিকে বলা হয় ক্ল্যাডিং। কোরের প্রতিসরাঙ্ক ক্ল্যাডিংয়ের প্রতিসরাংকের তুলনায় বেশি হয়, ফলে কোরের মধ্য দিয়ে আলোর পুর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা ট্রান্সফার হয়।
প্রশ্নঃ অপটিক্যাল ফাইবার তৈরিতে মাল্টিকম্পোনেন্ট কাঁচ ব্যবহার করা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ অতি স্বচ্ছ ও রাসায়নিকভাবে সুস্থির, সোডা বোরো সিলিকেট, সোডালাইম সিলিকেট ও সোডা অ্যালুমিনা সিলিকেটকে মাল্টিকম্পোনেন্ট কাঁচ বলা হয়। সাধারণ কাঁচের তুলনায় মাল্টিকম্পোনেন্ট কাঁচে স্বচ্ছ আলোর পুর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে এবং সিগন্যাল ক্ষয় কম হয়। যেহেতু অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর পুর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তরিত হয়। তাই অপটিক্যাল ফাইবার তৈরিতে মাল্টিকম্পোনেন্ট কাঁচ ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত ওয়েভ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত ওয়েভ হলো মাইক্রোওয়েভ। ৩০০ MHz থেকে ৩০০ GHz ফ্রিকুয়েন্সিতে পাঠানো বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের নাম মাইক্রোওয়েভ। মাইক্রোওয়েভে একমুখী এবং ছোট আকারের কেন্দ্র অভিমুখে সিগন্যাল পাঠানো যায়। এজন্য প্রেরক ও গ্রাহক অ্যান্টেনাকে পরস্পরমুখী করে সাজাতে হয়। এতে সুবিধা হলো এক জোড়া গ্রাহক ও প্রেরক অ্যা ন্টেনা অন্য কোনো অ্যা ন্টেনার সাথে সংঘর্ষ না ঘটিয়ে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।
প্রশ্নঃ কোন ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার মুখোমুখি থাকে এবং কেন?
উত্তরঃ মাইক্রোওয়েভ যোগাযোগ ব্যবস্থায় ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার মুখোমুখি থাকে। মাইক্রোওয়েভ এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ যা সেকেন্ডে প্রায় ১ গিগা বা তার চেয়ে বেশিবার কম্পন বিশিষ্ট। মাইক্রোওয়েভ সংযোগ ব্যবহার করে ডেটা, ছবি, শব্দ স্থানান্তর করা সম্ভব। মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম মূলত দুটো ট্রান্সসিভার নিয়ে গঠিত। এর একটি সিগন্যাল ট্রান্সমিট এবং অন্যটি রিসিভ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। মাইক্রোওয়েভ বাঁকা পথে চলতে পারে না। মাইক্রোওয়েভ মাধ্যমে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে কোনো বাধা থাকলে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না। তাই মাইক্রোওয়েভ ব্যবস্থায় ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার মুখোমুখি থাকে।
প্রশ্নঃ “স্বল্প দূরত্বে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ব্লুটুথ টেকনোলজির সাহায্যে সল্প দূরত্বে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব। ব্লুটুথ হচ্ছে একটি ওয়্যারলেস টেকনোলজি যার মাধ্যমে একটি ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WPAN) সৃষ্টি করা যায়। এর দূরত্ব সাধারণত ১০ থেকে ১০০ মিটার হয়ে থাকে। ব্লুটুথ সম্বলিত ডিভাইসগুলো ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর করতে পারে। এর ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রায় ১ মেগাবিট/সেকেন্ড বা তার চেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ Wi-Fi জোনে ডেটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিভাবে
করা যায়? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ Wi-Fi পাসওয়ার্ড এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ Wi-Fi শব্দটি Wireless Fidelity শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ওয়াই-ফাই হলো জনপ্রিয় একটি তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা বেতার তরঙ্গকে ব্যবহার করে থাকে। এর এরিয়া একটি কক্ষ, একটি ভবন কিংবা সাধারণত ইনডোরের ক্ষেত্রে এ দূরত্ব ৩২ মিটার এবং আউটডোরের ক্ষেত্রে ৯৫ মিটারের মতো এলাকা জুড়ে হতে পারে। ওয়াই-ফাই এনাবল্ড যেকোনো ডিভাইস যেমন- একটি পার্সোনাল কম্পিউটার, স্মার্টফোন প্রভৃতি একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক অ্যাকসেস পয়েন্টের মাধ্যমে ওয়াই-ফাই এর সাথে যুক্ত হতে পারে। ওয়াই-ফাই এর অটো কনফিগারেশন থাকায় এটি সহজে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু ডেটা ও নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকে যায়। তাই ডেটা ও নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা ঝুঁকি এরাতে পাসওয়ার্ড এবং ডেটা এনক্রিপশন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলে অনুমোদনহীন কোন ডিভাইস নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারবে না।
প্রশ্নঃ কোন ক্ষেত্রে Wi-Fi এর পরিবর্তে Wi-Max ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত –ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ Wi-Fi ও Wi-Max এর মধ্যে একটি মিল ও একটি অমিল লিখ।
উত্তরঃ Wi-Fi শব্দটি Wireless Fidelity শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ওয়াই-ফাই হলো জনপ্রিয় একটি তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা বেতার তরঙ্গকে ব্যবহার করে থাকে। এর এরিয়া একটি কক্ষ, একটি ভবন কিংবা পাশাপাশি দুই-তিনটি ভবন জুড়ে হতে পারে। অপরদিকে, WiMAX এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Worldwide Interoperability for Microwave Access। ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড সেবা, তারবিহীন ব্যবস্থায় বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ইন্টারনেট অ্যাকসেস করার সুযোগ পাওয়া যায়। অর্থাৎ কভারেজ এরিয়া সাধারণত ১০ কিমি হতে শুরু করে ৬০ কিমি এর মধ্যে ইন্টারনেট সেবা প্রয়োজন হলে। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড সেবা পাওয়ার জন্য; এমনকি যেখানে ফোনের সংযোগ পৌঁছেনি সেখানেও Wi-Fi এর পরিবর্তে Wi-Max ব্যবহার যুক্তিযুক্ত।
প্রশ্নঃ “এক সময় মোবাইল ইন্টারনেটে সর্বোচ্চ ১৭১.২ kbps গতি পাওয়া যেত” – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ GPRS কে 2.5G বলা হত কারণ এটি 2G GSM এবং 3G UMTS এর মাঝামাঝি সময় চালু হয়। এটির সর্বোচ্চ ডাউনলোড স্পিড ছিল ১৭১.২ kbps। কিন্তু দূর্বল কাভারেজ, টাওয়ার থেকে ব্যবহারকারীর দূরত্ব বা ব্যবহারকারীর সংখ্যাধিক্য প্রভূতি কারণে এর স্পিড আরও কম পাওয়া যেতো। তাই বলা যায়, এক সময় মোবাইল ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ ১৭১.২ kbps গতি পাওয়া যেত।
প্রশ্নঃ 2G ও 3G নেটওয়ার্কের মধ্যে কোনটি বেশি সুবিধাজনক? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ কোন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি সবচাইতে নির্ভর যোগ্য ডেটা আদান প্রদান করতে পারবে এবং কেন?
উত্তরঃ 2G ও 3G নেটওয়ার্কের মধ্যে 3G নেটয়ার্ক বেশি সুবিধাজনক। 3G নেটওয়ার্কে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্যাকেট সুইচিং ও সার্কিট সুইচিং উভয় পদ্ধতিই ব্যবহৃত হয়। তবে প্যাকেই সুইচিং পদ্ধতির সাহায্যে খুব দ্রুত ছবি ও ভয়েস আদান প্রদান করা যায়। EDGE পদ্ধতি কার্যকর হয়। ফলে অধিক পরিমান ডেটা স্থানান্তর করা যায়। ডেটা স্থানান্তরের গতি 2 Mbps এর অধিক। এছাড়া আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা আছে। যা 2G নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। তাই বলা যায়- 2G ও 3G নেটওয়ার্কের মধ্যে 3G নেটয়ার্ক বেশি সুবিধাজনক।
প্রশ্নঃ ৩য় প্রজন্মের মোবাইলের সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় – বুঝিয়ে লেখো।
উত্তরঃ ২য় প্রজন্মের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা চালু হয়। কিন্তু ব্যান্ডউইডথ এর সীমাবদ্ধতার কারণে ইন্টারনেটের ব্যবহার ছিল অতি নগণ্য। কিন্তু ৩য় প্রজন্মের মোবাইলে ডেটা রুপান্তরের কাজে সার্কিট সুইচিং এর পরিবর্তে প্যাকেট সুইচিং পদ্বতি ব্যবহৃত হয়। ফলে ব্যান্ডউইডথ বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই ৩য় প্রজন্মের মোবাইল ফোনে উচ্চগতিসম্মপন্ন ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব হয়। আর উচ্চ গতির কারণেই ৩য় প্রজন্মের মোবাইলে স্বাচ্ছন্দে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্নঃ 4G এর গতি 3G এর প্রায় ৫০ গুন বেশি। - ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেম এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সার্কিট সুইচিং বা প্যাকেট সুইচিং এর পরিবর্তে ইন্টারনেট প্রটোকল (IP) ভিত্তিক নেটওয়ার্কের ব্যবহার। ফলে মোবাইল ফোন সিস্টেমে আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। চলনশীল ডিভাইসের ক্ষেত্রে এর ডেটা স্থানান্তর গতি ১০০ Mbps। অন্যদিকে, তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ডেটা রেট ২ Mbps । সুতরাং 4G এর গতি 3G এর প্রায় ৫০ গুন বেশি।
প্রশ্নঃ ডেটা কমিউনিকেশনে মডেমের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ তথ্য আদান-প্রদানে মডেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে -ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ শুধু মডুলেশন বা ডিমডুলেশন কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে না- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ মডেম হচ্ছে একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা মডুলেশন ও ডিমডুলেশনের মাধ্যমে এক কম্পিউটারের তথ্যকে অন্য কম্পিউটারে টেলিফোন লাইনের সাহায্যে পৌঁছে দেয়। উৎস কম্পিউটারের সাথে যুক্ত মডেম কম্পিউটারের ডিজিটাল সিগন্যালকে অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তর করে টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বারা গ্রাহকের নিকট প্রেরণ করে এবং এই প্রক্রিয়াকে মডুলেশন বলে। অপরদিকে গন্তব্য কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত মডেম সেই অ্যানালগ সিগন্যালকে আবার ডিজিটাল সিগন্যালে পরিণত করে তা কম্পিউটারের ব্যবহারোপযোগী করে এবং এই প্রক্রিয়াকে ডিমডুলেশন বলে। অর্থাৎ ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমে মডেম একই সাথে প্রেরক এবং প্রাপক হিসেবে ডেটাকে মডুলেশন এবং ডিমডুলেশন প্রকিয়ার মাধ্যমে উৎস থেকে গন্তব্যে পৌছে দেয়।
প্রশ্নঃ কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর উদ্দেশ্যসমূহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যাতে দুই ততোধিক কম্পিউটার একসাথে যুক্ত থাকে। যার ফলে কম্পিউটারসমূহের মধ্যে নির্বিঘ্নে ডেটা আদান-প্রদান করা যায় ও রিসোর্সসমূহ শেয়ার করা যায়। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্যতম হলো ফাইল শেয়ারিং, হার্ডওয়্যার রিসোর্স শেয়ারিং, সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ারিং, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। এছাড়া কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একই সাথে একাধিক কম্পিউটারে দ্রুতগতিতে কাজ করা সম্ভব হয়।
প্রশ্নঃ মালিকানার ভিত্তিতে নেটওয়ার্কের ধরণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়। মালিকানা অনুসারে নেটওয়ার্ক দুই ধরনের। যথা – পাবলিক নেটওয়ার্ক ও প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। পাবলিক নেটওয়ার্ক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকাধীন থাকে না। এটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয় যা টাকার বিনিময়ে সবাই ব্যবহার করতে পারে। অন্যদিকে প্রাইভেট নেটওয়ার্ক চাইলে সবাই ব্যবহার করতে পারে না, যা শুধুমাত্র নিজস্ব কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকাধীন থাকে।
প্রশ্নঃ সুইচ এবং হাবের মধ্যে কোনটি অধিকতর সুবিধাজনক? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ “বর্তমানে নেটওয়ার্ক তৈরিতে হাবের চেয়ে সুইচ ব্যবহার করা হয়” – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ হাব অথবা সুইচ একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যার সাহায্যে নেটওয়ার্কের কম্পিউটারসমূহ পরস্পরের সাথে কেন্দ্রিয়ভাবে যুক্ত থাকে। হাবের সাথে সুইচের পার্থক্য হলো; প্রেরক থেকে প্রাপ্ত ডেটা হাব সকল পোর্টে ব্রডকাস্ট করে ফলে ডেটা আদান-প্রদানে বাধার সম্ভাবনা থাকে। হাবে ডেটা আদান-প্রদানে সময় বেশি লাগে এবং নিরাপত্তা কম। অপরদিকে প্রেরক থেকে প্রাপ্ত ডেটা সুইচ সুনির্দিষ্ট পোর্টে পাঠিয়ে দেয় ফলে ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বাধার সম্ভাবনা থাকে না। সুইচে ডেটা আদান-প্রদানে সময় কম লাগে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো। তাই বলা যায় হাবের চেয়ে সুইচ অধিকতর সুবিধাজনক।
প্রশ্নঃ ভিন্ন প্রটোকলের নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে কোন ডিভাইস প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ বিভিন্ন ধরনের প্রটোকলের নেটওয়ার্কে যুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসটি হলো গেটওয়ে। হাব, সুইচ রাউটার ইত্যাদি প্রটোকল ট্রান্সলেশনের সুবিধা দেয় না কিন্তু গেটওয়ে প্রটোকল ট্রান্সলেশনের সুবিধা দেয়। ভিন্ন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হওয়ার সময় এটি প্রটোকল ট্রান্সলেশনের কাজ করে থাকে। এটি PAT (Protocol Address Translation) ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে থাকে বলে একে প্রটোকল কনভার্টারও বলা হয়।
প্রশ্নঃ মেশ টপোলজি কেন জটিল? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ মেশ টপোলজিতে নেটওয়ার্কের প্রত্যেক কম্পিউটার অন্য সব কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে। সংযোগ সংখ্যা বেশি হওয়ায় বড় ধরনের নেটওয়ার্ক মেশ টপোলজিতে গড়ে তোলা কষ্টকর। মেশ টপোলজি ইন্সটল ও ম্যানেজ করা তুলনামূলক কঠিন। নেটওয়ার্কের নোড বাড়ার সাথে সাথে সংযোগ সংখ্যা বেড়ে যায়। তাই মেশ টপোলজি তুলনামূলক জটিল।
প্রশ্নঃ যে টপোলজিতে সবগুলো কম্পিউটারের সাথে সবগুলো কম্পিউটার সংযুক্ত তা ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্নঃ মেশ টপোলজি কোথায় সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত?
উত্তরঃ মেশ টপোলজিতে নেটওয়ার্কের অধীনস্ত প্রত্যেক কম্পিউটার অন্য সব কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। এতে প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশনের মেধ্যে আলাদা আলাদা লিংক বা বাস থাকে। তাই প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশন সরাসরি যেকোনো ওয়ার্কস্টেশনের সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। এটি ব্যয়বহুল কিন্তু ডেটা কমিউনিকেশনে সবচেয়ে বেশি নিশ্চয়তা প্রদান করে। সুতরাং ডেটা যোগাযোগের ক্ষেত্রে নির্ভরশীলতা যেখানে মুখ্য (যেমন – প্রতিরক্ষা বা ব্যাংকিং) অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের নিশ্চয়তা প্রয়োজন, সেসব ক্ষেত্রে মেশ টপোলজি সর্বাধিক উপযুক্ত নেটওয়ার্ক।
প্রশ্নঃ কোন টপোলজিতে নোডসমূহ পরস্পর তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ মেশ টপোলজিতে নোডসমূহ পরস্পর তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। মেশ টপোলজিতে নেটওয়ার্কের অধীনস্ত প্রত্যেক কম্পিউটার অন্য সব কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। এতে প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশনের মেধ্যে আলাদা আলাদা লিংক বা বাস থাকে। তাই প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশন সরাসরি যেকোনো ওয়ার্কস্টেশনের সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে।
প্রশ্নঃ ডেটা ট্রান্সমিশনে দুর্বল
সিগন্যালকে শক্তিশালী করার উপায়-ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ নেটওয়ার্ক মিডিয়ার মধ্য দিয়ে ডেটা সিগন্যাল প্রবাহের সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করার পর এটেনুয়েশনের কারণে সিগন্যাল আস্তে আস্তে দূর্বল হয়ে পড়ে। তখন এই সিগন্যালকে এমপ্লিফাই বা পুনরোদ্ধার করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে এই কাজটি যে ডিভাইস করে থাকে তাকে রিপিটার বলে। অর্থাৎ নেটওয়ার্ক মিডিয়ার নির্দিষ্ট দূরত্বে রিপিটার বসিয়ে দূর্বল সিগন্যালকে শক্তিশালী করা যায়।
প্রশ্নঃ ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন?
প্রশ্নঃ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষানাবেক্ষণ করা যায় কিভাবে তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি বিশেষ পরিসেবা বা একটা ব্যবসায়িক মডেল, যেখানে বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স শেয়ার, কম্পিউটিং সেবা, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার প্রভৃতি সেবা সহজে ক্রেতার সুবিধা মতো, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করা বা ভাড়া দেওয়া হয়। ক্লাউড কম্পিউটিং এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষানাবেক্ষণ করে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা ব্যপকভাবে গ্রহণ করা হচ্ছে। কারণ নিজস্ব হার্ডওয্যার বা সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয় না ফলে খরচ কম। ক্লাউড সিস্টেমে যেকোনো স্থান থেকে যেকোন সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আপলোড বা ডাউনলোড করা যায়। সহজে কাজকর্ম মনিটরিং করা যায় ফলে বাজেট ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কর্মকান্ড পরিচালনা করা যায়।
প্রশ্নঃ ব্যবহারকারী ও সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ই লাভবান হয়ে থাকেন – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার পদ্বতি হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। যেকোনো ব্যবহারকারী বা প্রতিষ্ঠান এ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কম্পিউটার সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারে। ব্যবহারকারীকে সেবা ম্যানেজ করতে হয় না, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সবকিছু করে দেয়। এছাড়া ব্যবহারকারী যতটুকু দরকার ততটুকু সেবার মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এজন্য বলা যায় ব্যবহাকারী ও সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ই লাভবান হয়ে থাকেন।
প্রশ্নঃ “ক্লাউড কম্পিউটারে তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা কম” – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার পদ্বতি হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি একটি বিশেষ পরিসেবা। এখানে “ক্লাউড” বলতে দূরবর্তী কোনো সার্ভার কম্পিউটারকে বোঝানো হয়। যেহেতু তথ্য দূরবর্তী কোনো একটি সার্ভারে থাকে অর্থ্যাৎ নিজের কাছে থাকে না যেমন সার্ভার যদি কোনো কারণে হ্যাক হয়ে যায়, হ্যাকাররা সহজেই আমাদের তত্থ্যগুলো পেয়ে যাবে। তাই এতে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা কম।
প্রশ্নঃ নিরাপদ ডেটা সংরক্ষণে ক্লাউড কম্পিউটিং উত্তম – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার পদ্বতি হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি একটি বিশেষ পরিসেবা। এখানে “ক্লাউড” বলতে দূরবর্তী কোনো সার্ভার কম্পিউটারকে বোঝানো হয়। ক্লাউড কম্পিউটিং এ রিসোর্স (হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার) শেয়ার করে খরচ কমানো যায়। ক্লাউড কম্পিউটিং এর রিসোর্স অধিক নিরাপদ এবং ডেটা ব্যাকআপ নিশ্চিত করায় এটি অধিক নির্ভ্ররযোগ্য।
মোঃ আবু সাঈদ
প্রভাষক (আইসিটি)
একজন দক্ষ, উদ্ভাবনী এবং প্রযুক্তি-বান্ধব আইসিটি শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তি জ্ঞানের বিকাশ এবং ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিবেদিত। কম্পিউটার বিজ্ঞান, প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল লিটারেসি এবং আধুনিক সফটওয়্যার/হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানে অভিজ্ঞ। শিক্ষার্থীদের বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী উপযোগী পাঠ পরিকল্পনা তৈরি এবং বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনায় দক্ষ। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং, গুগল ও মাইক্রোসফট অ্যাপ্লিকেশন, PHP, C/C++, JavaScript, পাইথন, এইচটিএমএল/সিএসএস সহ বিভিন্ন ডিজিটাল টুল ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে পারদর্শী।
সাজানো-গুছানো এবং কোয়ালিটিফুল ক্লাস কন্টেন্ট দ্বারা অফলাইন অথবা অনলাইনে এইচএসসি ও আলিম শিক্ষার্থীদের আইসিটি কোচিং করানো হয়।
শিক্ষার্থীদের সুসংগঠিত এবং গুণগত ক্লাস কন্টেন্ট যা পরীক্ষার ভাল ফলাফল এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেয়।
কপিরাইট © 2025 - 2025 Poralekha24.com. All rights reserved.