প্রশ্নঃ ডেটা কমিউনিকেশন কী?
উত্তরঃ কমিউনিকেশন শব্দটি Communicare শব্দ হতে এসেছে যার অর্থ to share(আদান-প্রদান/ বিনিময়)। সুতরাং এক ব্যক্তির সাথে অন্য ব্যক্তির বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে নির্ভরযোগ্যভাবে তথ্যের আদান-প্রদান বা বিনিময়ই হচ্ছে ডেটা কমিউনিকেশন।
প্রশ্নঃ মডুলেশন কী?
উত্তরঃ ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে রূপান্তরের প্রক্রিয়াই হলো মডুলেশন।
প্রশ্নঃ ডি-মডুলেশন কী?
উত্তরঃ অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তরের প্রক্রিয়াই হলো ডি-মডুলেশন।
প্রশ্নঃ ব্যান্ডউইথ কী?
উত্তরঃ প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান ডেটা ট্রান্সফার হয় অর্থাৎ ডেটা ট্রান্সফারের হারকে ব্যান্ডউইথ বলে। একে ট্রান্সমিশন স্পিডও বলা হয়। এই ব্যান্ডউইথ সাধারণত Bit per Second (bps) এ হিসাব করা হয়। বাইনারী ডিজিট ০ এবং ১ কে বিট বলে। একে b দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্নঃ ন্যারোব্যান্ড কী?
উত্তরঃ ধীর গতিসম্পন্ন ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ৪৫ থেকে ৩০০ bps এর ব্যান্ডউইডথকে বলা হয় ন্যারোব্যান্ড।
প্রশ্নঃ ভয়েসব্যান্ড কী?
উত্তরঃ ১২০০ থেকে ৯৬০০ bps এর ব্যান্ডউইডথকে বলা হয় ভয়েসব্যান্ড।
প্রশ্নঃ ব্রডব্যান্ড কী?
উত্তরঃ ১ mbps এর চেয়ে অধিক গতিসম্পন্ন ব্যান্ডউইডথকে বলা হয় ব্রডব্যান্ড।
প্রশ্নঃ ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কী?
উত্তরঃ ডেটা ট্রান্সমিশন বলতে ডেটা পরিবহন বা ডেটা স্থানান্তর বুঝায়। ডেটা ট্রান্সমিশন হওয়ার জন্য উৎস ও গন্তব্যের মধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকতে হয় এই পদ্ধতিকে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি অথবা মেথড বলে।
প্রশ্নঃ সমান্তরাল ডেটা ট্রান্সমিশন কী?
উত্তরঃ প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে সমান্তরালে ডেটা চলাচল করলে তাকে সমান্তরাল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে।
প্রশ্নঃ অনুক্রম বা সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন কী?
উত্তরঃ প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে একটি বিটের পর অপর বিট স্থানান্তর হলে তাকে অনুক্রম ডেটা ট্রান্সমিশন বলে।
প্রশ্নঃ বিট সিনক্রোনাইজেশন কী?
উত্তরঃ অনুক্রম বা সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে সিগন্যাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বলা হয় বিট সিনক্রোনাইজেশন।
প্রশ্নঃ অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কী?
উত্তরঃ অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে (Asynchronous Transmission) ডেটা প্রেরক হতে প্রাপকে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার পাঠানো হয়। এ ধরনের ট্রান্সমিশনে প্রেরক যে কোনো সময় ডেটা প্রেরণ এবং প্রাপক তা গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ক্যারেক্টারের শুরুতে একটি Start Bit এবং শেষে একটি Stop Bit পাঠানো হয়।
প্রশ্নঃ স্টার্ট বিট কী?
উত্তরঃ অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা বিটগুলোর শুরুতে অতিরিক্ত যে বিট যুক্ত করে দেয়া হয় তাকে স্টার্ট বিট বলে।
প্রশ্নঃ সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কী?
উত্তরঃ সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে প্রেরক হতে প্রাপকে ডেটা ব্লক আকারে স্থানান্তরিত হয়। প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাথমিক স্টোরেজে ডেটাগুলিকে সংরক্ষণ করে নেওয়া হয়। তারপর ডেটার ক্যারেক্টারগুলোকে ব্লক বা প্যাকেট আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক বা প্যাকেট ট্রান্সমিট করা হয়। সাধারণত 80 হতে 132 টি ক্যারেক্টার নিয়ে এক একটি ব্লক তৈরি হয়।
প্রশ্নঃ ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কী?
উত্তরঃ উৎস থেকে গন্তব্যে ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে বলা হয় ডেটা ট্রান্সমিশন মোড।
প্রশ্নঃ ইউনিকাস্ট কী?
উত্তরঃ ইউনিকাস্ট ট্রান্সমিশন হলো এমন একটি ট্রান্সমিশন মোড যেখানে একটি প্রেরক নোড হতে একটি নির্দিষ্ট প্রাপক নোডই শুধু ডেটা গ্রহণ করতে পারে।
প্রশ্নঃ সিমপ্লেক্স মোড কী?
উত্তরঃ এই ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে কেবলমাত্র একদিকে ডেটা প্রেরনের ব্যবস্থা থাকে। যেমন: কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা প্রেরণ।
প্রশ্নঃ হাফ-ডুপ্লেক্স মোড কী?
উত্তরঃ এই ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে ডেটা উভয় দিকে প্রবাহিত হয় কিন্তু একসাথে নয়। যেমনঃ ওয়াকি-টকির মাধ্যমে যোগাযোগ।
প্রশ্নঃ ফুল-ডুপ্লেক্স মোড কী?
উত্তরঃ এই ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে ডেটা একই সময়ে উভয় দিকে প্রবাহিত হয়। এই মোডে একই সময়ে এক সাথে প্রেরক বা প্রাপক ডেটা গ্রহণ বা প্রেরন করতে পারে। যেমন: মোবাইল ফোন, টেলিফোন।
প্রশ্নঃ ব্রডকাস্ট ট্রান্সমিশন কী?
উত্তরঃ ব্রডকাস্ট ট্রান্সমিশন হলো এমন একটি ট্রান্সমিশন মোড যেখানে নেটওয়ার্কের একটি প্রেরক হতে ডেটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কে অবস্থিত সকল সদস্য গ্রহণ করতে পারে।
প্রশ্নঃ মাল্টিকাস্ট ট্রান্সমিশন কী?
উত্তরঃ মাল্টিকাস্ট ট্রান্সমিশন হলো এমন একটি ট্রান্সমিশন মোড যেখানে নেটওয়ার্কের একটি প্রেরক হতে ডেটা প্রেরণ করলে তা শুধু নেটওয়ার্কের অনুমোদিত সদস্যরা গ্রহণ করতে পারে।
প্রশ্নঃ ডেটা কমিউনিকেশনের মাধ্যম কী?
উত্তরঃ ডেটা আদান-প্রদানের জন্য প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের দরকার। এই সংযোগকে চ্যানেল বা মাধ্যম বলে।
প্রশ্নঃ অ্যাটিনুয়েশন কী?
উত্তরঃ তারের মধ্য দিয়ে যেকোন সিগন্যাল ট্রান্সমিট হবার সময় ধীরে ধীরে এর সিগন্যাল স্ট্রেস্থ বা শক্তি ক্ষয় হতে থাকে। সিগন্যালের এই শক্তিক্ষয়কে অ্যাটিনুয়েশন বা ট্রান্সমিশন লস বলে।
প্রশ্নঃ ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ইন্টারফারেন্স কী?
উত্তরঃ ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ইন্টারফারেন্স (EMI) হল একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড অন্য একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। এটি সাধারণত বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপন্ন হয়, যেমন মোবাইল ফোন, রেডিও, টেলিভিশন, এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি। EMI এর ফলে ডিভাইস বা ক্যাবলের সিগন্যাল দুর্বল হতে পারে, যা তথ্যের ক্ষতি বা বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে।
প্রশ্নঃ কো-এক্সিয়াল ক্যাবল কী?
উত্তরঃ দুটি বিদ্যুৎ পরিবাহী তার ও অপরিবাহী পদার্থের সাহায্যে এ ক্যাবল তৈরি করা হয়। ভেতরের পরিবাহী তারটি কপার ওয়্যার যার মধ্য দিয়ে ডেটা প্রবাহিত হয়। ভেতরের পরিবাহী ও বাইরের পরিবাহী তারকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝখানে অন্তরক পদার্থ হিসেবে ফোমের ইন্সুলেশন ব্যবহার করা হয় এবং বাইরের পরিবাহী তারকে প্লাস্টিকের জ্যাকেট দ্বারা ডেকে রাখা হয়।
প্রশ্নঃ টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কী?
উত্তরঃ টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের মধ্য দিয়ে সিগন্যাল ট্রান্সমিট করার জন্য দুটি পরিবাহী কপার বা তামার তারকে পরস্পর সমভাবে পেঁচিয়ে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল তৈরি করা হয়। পেঁচানো তার দুটিকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝে অপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এধরনের ক্যাবলে সাধারণত মোট ৪ জোড়া তার ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ অপটিক্যাল ফাইবার কী?
উত্তরঃ অপটিক্যাল ফাইবার হলো কাঁচ (সিলিকা) বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি একটি স্বচ্ছ অথচ নমনীয় তার মাধ্যম যা আলোর গতিতে ডেটা স্থানান্তর করে।
প্রশ্নঃ রেডিও ওয়েভ কী?
উত্তরঃ 3 কিলোহার্টজ থেকে 300 কিলোহার্টজের মধ্যে সীমিত ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক স্প্রেকট্রামকে বলা হয় রেডিও ওয়েভ।
প্রশ্নঃ মাইক্রোওয়েভ কী?
উত্তরঃ মাইক্রোওয়েভ এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ যার ফ্রিকুয়েন্সি ৩০০ MHz থেকে ৩০০ GHz। এই তরঙ্গ এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ১mm থেকে ১m পর্যন্ত হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ LOS – Line Of Sight কী?
উত্তরঃ মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশনে ট্রান্সমিটার ও রিসিভারকে মুখোমুখি অবস্থানে থাকতে হয়। না হলে ট্রান্সমিশন বাধাগ্রস্ত হয়। ট্রান্সমিটার ও রিসিভারের এই মুখোমুখি অবস্থানে থাকাকে Line Of Sight বলে।
প্রশ্নঃ ইনফ্রারেড কী?
উত্তরঃ ইনফ্রারেড হলো এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েব যার ফ্রিকুয়েন্সি ৩০০ GHz থেকে ৪৩০ THz।
প্রশ্নঃ এক্সেস পয়েন্ট কী?
উত্তরঃ এক্সেস পয়েন্ট হলো একটি ডিভাইস বা রাউটার যা তারবিহীনভাবে অন্য ডিভাইসকে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করে।
প্রশ্নঃ হটস্পট কী?
উত্তরঃ হটস্পট হচ্ছে এক ধরনের ওয়্যারলেস নেটয়ার্ক যা দুইটি ডিভাইসের মধ্যে তারবিহীন সংযোগ স্থাপন করে।
প্রশ্নঃ Bluetooth কী?
উত্তরঃ ব্লুটুথ হচ্ছে একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যার মাধ্যমে একটি ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WPAN) সৃষ্টি করা যায়। এর দূরত্ব সাধারণত ১০ থেকে ১০০ মিটার হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ পিকোনেট কী?
উত্তরঃ ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে যে নেটওয়ার্ক গঠন করা সম্ভব হয় তারই নাম হলো পিকোনেট।
প্রশ্নঃ Wi-Fi কী?
উত্তরঃ Wi-Fi শব্দটি Wireless Fidelity শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ওয়াই-ফাই হলো জনপ্রিয় একটি তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা বেতার তরঙ্গকে ব্যবহার করে থাকে। এর মাধ্যমে ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN) তৈরি করা যায়।
প্রশ্নঃ WiMAX কী?
উত্তরঃ WiMAX এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Worldwide Interoperability for Microwave Access। ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড সেবা, তারবিহীন ব্যবস্থায় বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ইন্টারনেট অ্যাকসেস করার সুযোগ পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (WMAN) তৈরি করা যায়।
প্রশ্নঃ মোবাইল প্রজন্ম কাকে বলে?
উত্তরঃ মোবাইল ফোনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের এক একটি পর্যায় বা ধাপকে মোবাইল ফোনের প্রজন্ম বলে।
প্রশ্নঃ CDMA কী?
উত্তরঃ CDMA পূর্নরুপ হল Code Division Multiple Access।
প্রশ্নঃ FDMA কী?
উত্তরঃ FDMA পূর্নরুপ হল Frequency Division Multiple Access।
প্রশ্নঃ TDMA কী?
উত্তরঃ TDMA পূর্নরুপ হল Time Division Multiple Access।
প্রশ্নঃ GSM কী?
উত্তরঃ GSM পূর্নরুপ হল Global System for Mobile.
প্রশ্নঃ রোমিং কী?
প্রশ্নঃ মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারের কাভারেজ এরিয়ার সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য তাদের মধ্যে দেশীয় ও আন্তঃদেশীয় আন্তঃসংযোগের ব্যবস্থাই হলো রোমিং।
প্রশ্নঃ Hand Off কী?
উত্তরঃ মোবাইল যোগাযোগকালীন অবস্থায় এক বেজ স্টেশন থেকে অন্য বেজ স্টেশনে গমন করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক সেল নেটওয়ার্কের সংযুক্তি ত্যাগ করে অন্য সেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে যায়। একে Hand Off বলে।
প্রশ্নঃ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কী?
উত্তরঃ যখন দুই বা ততোধিক কম্পিউটার তার বা তারবিহীন মাধ্যমের সাহায্যে সংযুক্ত হয়ে তথ্য, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ইত্যাদি শেয়ার করে তখন উক্ত ব্যবস্থাকে বলা হয় কম্পিউটার নেটওয়ার্ক।
প্রশ্নঃ PAN কী?
উত্তরঃ প্যান (PAN) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Personal Area Network। সাধারণত ১০ মিটার এর মধ্যে সীমাবদ্ধ কোনো ব্যক্তির বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে তৈরি নেটওয়ার্কে PAN বলে।
প্রশ্নঃ LAN কী?
উত্তরঃ LAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Local Area Network। সাধারণত ১০ কি.মি. বা তার কম পরিসরের জায়গার মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কম্পিউটার বা অন্যকোনো পেরিফেরাল ডিভাইস (যেমন- প্রিন্টার) সংযুক্ত করে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তাকে LAN বলে।
প্রশ্নঃ MAN কী?
উত্তরঃ MAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Metropolitan Area Network। একই শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কম্পিউটারসমূহ, বিভিন্ন ডিভাইস ও LAN গুলোর সংযোগে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয় তাকে MAN বলে।
প্রশ্নঃ WAN কী?
উত্তরঃ WAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Wide Area Network। অনেক বড় ভৌগোলিক বিস্তৃতিতে অবস্থিত LAN, MAN, কম্পিউটার ও বিভিন্ন ডিভাইসসমূহের সংযোগে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয় তাকে WAN বলে। WAN এর বিস্তৃতি সমগ্র দেশ বা পৃথিবী জুড়ে হতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় WAN এর উদাহরণ হলো ইন্টারনেট।
প্রশ্নঃ মডেম কী?
উত্তরঃ মডেম হচ্ছে একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা মডুলেশন ও ডিমডুলেশনের মাধ্যমে এক কম্পিউটারের তথ্যকে অন্য কম্পিউটারে টেলিফোন লাইনের সাহায্যে পৌঁছে দেয়।
প্রশ্নঃ NIC কী?
উত্তরঃ NIC এর পুর্নরূপ হচ্ছে Network Interface Card। কম্পিউটারকে নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত করার জন্য নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড ব্যবহার করা হয়। এ কার্ডকে ল্যান কার্ড বা নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার কার্ডও বলে।
প্রশ্নঃ হাব কী?
উত্তরঃ হাব একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং একে LAN ডিভাইসও বলা হয়। যার সাহায্যে নেটওয়ার্কের কম্পিউটারসমূহ পরস্পরের সাথে কেন্দ্রিয়ভাবে যুক্ত থাকে। প্রেরক থেকে প্রাপ্ত ডেটা হাব সকল পোর্টে ব্রডকাস্ট করে।
প্রশ্নঃ সুইচ কী?
উত্তরঃ সুইচ একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং একে LAN ডিভাইসও বলা হয়। যার সাহায্যে নেটওয়ার্কের কম্পিউটারসমূহ পরস্পরের সাথে কেন্দ্রিয়ভাবে যুক্ত থাকে। প্রেরক থেকে প্রাপ্ত ডেটা সুইচ সুনির্দিষ্ট পোর্টে পাঠিয়ে দেয়।
প্রশ্নঃ রাউটার কী?
উত্তরঃ রাউটার একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং একে WAN ডিভাইসও বলা হয়। এটি একটি বুদ্ধিমান ডিভাইস যা একই প্রটোকল বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ককে (LAN, MAN, WAN) সংযুক্ত করে WAN তৈরি করে।
প্রশ্নঃ ব্রিজ কী?
উত্তরঃ ব্রিজ একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ককে ছোট ছোট সেগমেন্টে বিভক্ত করে। এর সাহায্যে ভিন্ন মাধ্যম অথবা ভিন্ন কাঠামো বিশিষ্ট একাধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করা যায়। কিন্তু এর সাহায্যে ভিন্ন প্রটোকল বিশিষ্ট একাধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করা যায় না।
প্রশ্নঃ গেটওয়ে কী?
উত্তরঃ গেটওয়ে একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং একে WAN ডিভাইসও বলা হয়। এটি ভিন্ন প্রটোকল বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ককে (LAN, MAN, WAN) সংযুক্ত করে WAN তৈরি করে। গেটওয়ে ভিন্ন নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার সময় প্রটোকল ট্রান্সলেশন করে থাকে।
প্রশ্নঃ রিপিটার কী?
উত্তরঃ নেটওয়ার্ক মিডিয়ার মধ্য দিয়ে ডেটা সিগন্যাল প্রবাহের সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করার পর এটেনুয়েশনের কারণে সিগন্যাল আস্তে আস্তে দূর্বল হয়ে পড়ে। তখন এই সিগন্যালকে এমপ্লিফাই বা পুনরোদ্ধার করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে এই কাজটি যে ডিভাইস করে থাকে তাকে রিপিটার বলে।
প্রশ্নঃ নেটওয়ার্ক টপোলজি কী?
উত্তরঃ নেটওয়ার্কে কম্পিউটারসমূহ যে জ্যামিতিক সন্নিবেশে সংযোগ করা হয় সেই জ্যামিতিক সন্নিবেশকে নেটওয়ার্ক টপোলজি বলে।
প্রশ্নঃ বাস টপোলজি কী?
উত্তরঃ যে টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবগুলো কম্পিউটার বা নোড সংযুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি বলা হয়। সংযোগ লাইনকে সাধারণত বাস বলা হয়।
প্রশ্নঃ ব্যাকবোন কী?
উত্তরঃ বাস টপোলজির প্রধান ক্যাবলটিকে বলা হয় ব্যাকবোন।
প্রশ্নঃ স্টার টপোলজি কী?
উত্তরঃ স্টার টপোলজিতে নেটওয়ার্কের সবগুলো কম্পিউটার বা নোড একটি কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক ডিভাইসের (সুইচ,হাব) সাথে সংযুক্ত থাকে।
প্রশ্নঃ রিং টপোলজি কী?
উত্তরঃ রিং টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার তার পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এভাবে রিংয়ের সর্বশেষ কম্পিউটারটি প্রথমটির সাথে যুক্ত হয়।
প্রশ্নঃ ট্রি টপোলজি কী?
উত্তরঃ ট্রি টপোলজিতে একাধিক হাব বা সুইচ ব্যবহার করে সমস্ত কম্পিউটারগুলো একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে রুট বলা হয়। এ টপোলজিতে প্রথম স্তরের কম্পিউটার গুলো দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটার গুলোর হোস্ট হয়। একইভাবে দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটার গুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটার গুলোর হোস্ট হয়।
প্রশ্নঃ মেশ টপোলজি কী?
উত্তরঃ মেস টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের অধীনস্থ প্রত্যেকটি কম্পিউটার একে অপরের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। এই টপোলজিতে যদি যোগাযোগের একটি পথ নষ্ট হয় তবে বিকল্প আরেকটি পথ থাকে যোগাযোগের জন্য।
প্রশ্নঃ হাইব্রিড টপোলজি কী?
উত্তরঃ ভিন্ন টপোলজির একাধিক টপোলজি নিয়ে গড়ে ওঠে হাইব্রিড টপোলজি।
প্রশ্নঃ ক্লাউড কম্পিউটিং কী?
উত্তরঃ ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি বিশেষ পরিসেবা বা একটা ব্যবসায়িক মডেল, যেখানে বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স শেয়ার, কম্পিউটিং সেবা, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার প্রভৃতি সেবা সহজে ক্রেতার সুবিধা মতো, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করা বা ভাড়া দেওয়া হয়।
প্রশ্নঃ পাবলিক ক্লাউড কী?
উত্তরঃ পাবলিক ক্লাউড হলো এক ধরনের ইন্টারনেট সেবা যার রিসোর্সসমূহ বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
প্রশ্নঃ প্রাইভেট ক্লাউড কী?
উত্তরঃ কোনো বড় প্রতিষ্ঠান তার নিজের সার্ভিসসমূহ চালানোর জন্য যদি কোনো ক্লাউড প্রতিষ্ঠা করে তখন তাকে প্রাইভেট ক্লাউড বলে।
মোঃ আবু সাঈদ
প্রভাষক (আইসিটি)
একজন দক্ষ, উদ্ভাবনী এবং প্রযুক্তি-বান্ধব আইসিটি শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তি জ্ঞানের বিকাশ এবং ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিবেদিত। কম্পিউটার বিজ্ঞান, প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল লিটারেসি এবং আধুনিক সফটওয়্যার/হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানে অভিজ্ঞ। শিক্ষার্থীদের বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী উপযোগী পাঠ পরিকল্পনা তৈরি এবং বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনায় দক্ষ। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং, গুগল ও মাইক্রোসফট অ্যাপ্লিকেশন, PHP, C/C++, JavaScript, পাইথন, এইচটিএমএল/সিএসএস সহ বিভিন্ন ডিজিটাল টুল ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে পারদর্শী।
সাজানো-গুছানো এবং কোয়ালিটিফুল ক্লাস কন্টেন্ট দ্বারা অফলাইন অথবা অনলাইনে এইচএসসি ও আলিম শিক্ষার্থীদের আইসিটি কোচিং করানো হয়।
শিক্ষার্থীদের সুসংগঠিত এবং গুণগত ক্লাস কন্টেন্ট যা পরীক্ষার ভাল ফলাফল এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেয়।
কপিরাইট © 2025 - 2025 Poralekha24.com. All rights reserved.