প্রশ্নঃ HTML এ কোনটি ডকুমেন্ট এর অংশ নয়, তবে লেখা জরুরি – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ HTML ডকুমেন্টের প্রথম লাইনে <!DOCTYPE html> কেখা হয় যাকে ডকুমেন্ট টাইপ ডিক্লারেশন বলে। এর দ্বারা ব্রাউজার বুঝতে পারে ডকুমেন্টটি HTML5 স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে লেখা হয়েছে এবং অনুযায়ী রেন্ডার প্রদর্শন করে। এজন্যই এটি ডকুমেন্টের অংশ নয় তবে ডকুমেন্ট টাইপ ডিক্লারেশন এর জন্য জরুরি।
প্রশ্নঃ Wire Frame কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ওয়্যারফ্রেম হলো একটি ভিজ্যুয়াল গাইড যা কোনো ওয়েবসাইটের কাঠামো উপস্থাপন করে। ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজের জন্য একটি করে লেআউট ডিজাইন করা হয় যার দ্বারা পেইজের কোন স্থানে কী দেখানো হবে সেটি দেখানো হয়। এই লেআউট ডিজাইন প্রাথমিকভাবে কাগজে কলমে করা হয়। এ জাতীয় কাগজে কলমে আঁকা ডিজাইনকে বলা হয় ওয়্যারফ্রেম বা Wire Frame।
প্রশ্নঃ “HTML শেখা ও ব্যবহার করার পদ্বতি সহজ” – উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ HTML এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Hyper Text Markup Language। HTML এর মাধ্যমে ওয়েবপেইজ এর মূল কাঠামো গঠন করা হয়। এটি একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ওপেন টেকনোলজি। অধিকাংশ ব্রাউজার HTML সাপোর্ট করে। HTML কেস সেনসেটিভ নয় এবং HTML ট্যাগের সিনট্যাক্স সহজ। তাই HTML শেখা ও ব্যবহার করার পদ্ধতি সহজ।
প্রশ্নঃ HTML ব্যবহারের সুবিধা বর্ণনা কর।
উত্তরঃ ওয়েবপেজ ডিজাইনে HTML ব্যবহারের সুবিধা নিচে দেওয়া হলো –
HTML ব্যবহার করা তুলনামূলক সহজ।
সব ধরনের ব্রাউজার সমর্থন করে।
ওয়েবপেজ এর টেমপ্লেট গঠন করা যায়।
উইন্ডোজ এর সাথে ফ্রি এডিটর থাকে। তাই আলাদা করে কোনো সফটওয়্যার কিনতে হয় না।
থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ছাড়াই ওয়েবে ভিডিও এবং অডিও যুক্ত করা যায়।
এটি ইউজার ফ্রেন্ডলি। প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা নেই এমন ব্যবহারকারীরাও সহজে শিখতে পারে।
প্রশ্নঃ কোন ভাষাটি ব্যবহারে সহজেই ওয়েবপেজ তৈরি করা যায় – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ HTML ভাষা ব্যবহার করে সহজেই ওয়েবপেজ তৈরি করা যায়।
HTML হলো হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ। এর কাজ হচ্ছে কোনো তথ্য ব্রাউজারে প্রদর্শনের
উপযোগী করা। এখানে যেসব ট্যাগ ব্যবহার করা হয় তা ব্যবহারকারী ও ব্রাউজার সহজে বুঝতে
পারে। এছাড়াও HTML ব্যবহারে কিছু সুবিধা রয়েছে –
HTML ব্যবহার করা
তুলনামূলক সহজ।
সব ধরনের ব্রাউজার সমর্থন করে।
ওয়েবপেজ এর টেমপ্লেট
গঠন করা যায়।
উইন্ডোজ এর সাথে
ফ্রি এডিটর থাকে। তাই আলাদা করে কোনো সফটওয়্যার কিনতে হয় না
থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ছাড়াই ওয়েবে ভিডিও এবং অডিও যুক্ত করা যায়।
এটি ইউজার ফ্রেন্ডলি। প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা নেই এমন ব্যবহারকারীরাও সহজে শিখতে পারে।
প্রশ্নঃ “HTML একটি কেস সেনসেটিভ ভাষা নয়” – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ HTML এ বড় হাতের অক্ষর ও ছোট হাতের অক্ষর যাই ব্যবহার করা হোক না কেন তা একই রকম কাজ সম্পাদন করবে বা একই ভ্যালু দেখাবে। যেমন - HTML এ <> ও <> এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, যা একই কাজ সম্পাদন করবে। তাই বলা যায়, HTML একটি কেস সেনসেটিভ ভাষা নয়।
প্রশ্নঃ HTML এর গুরুত্ব লেখ।
উত্তরঃ HTML এর পূর্ণরূপ হলো Hyper Text Markup Language। HTML ব্যবহার করে সহজেই ওয়েবপেজ ডিজাইন করা যায়। HTML ফাইলে লেখা, অডিও, ভিডিও, গ্রাফিক্স এবং এনিমেশন ইত্যাদি যুক্ত করা ও লিংক করা যায়। HTML5 ব্যবহার করে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট এর মতো ডিভাইস এর বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা যায়।
প্রশ্নঃ HTML কে টেক্সট ভিত্তিক ভাষা বলা হয় কেন?
উত্তরঃ HTML ল্যাংগুয়েজের মূল ভিত্তি হলো ট্যাগ যা এডিটরে টেক্সট আকারে লেখা হয়। এজন্য HTML কে টেক্সট ভিত্তিক ভাষা বলা হয়।
প্রশ্নঃ HTML প্রোগ্রামিং ভাষা নয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ HTML হলো একটি মার্কআপ ভাষা যা দ্বারা ওয়েবপেজ তৈরি ও বিভিন্ন উপাদান সাজানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। HTML দিয়ে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর মত কন্ডিশনাল, অ্যারে, লুপ, ফাইল ইত্যাদি কাজ করা যায় না। তাই বলা যায়, HTML প্রোগ্রামিং ভাযা নয়।
প্রশ্নঃ HTML মৌলিক ট্যাগগুলো কি কি? অথবা উদাহারণসহ HTML এর মৌলিক কাঠামো লিখ।
উত্তরঃ HTML প্রোগ্রাম একটি কাঠামোর মধ্যে লেখা হয়। HTML এর কোডগুলো <html> ট্যাগের মধ্যে থাকে। <html> ট্যাগের মধ্যে <head> ও <body> ট্যাগ থাকে। <body> ট্যাগের মধ্যে যা কিছু লেখা হয় তা ব্রাউজারে দৃশ্যমান হয়।
HTML এর মৌলিক কাঠামো বা ট্যাগগুলো নিম্নরুপঃ
<html>
<head>
</head>
<body>
</body>
</html>
প্রশ্নঃ <br> ট্যাগ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ <br> হলো একটি এম্পটি বা ফাঁকা ট্যাগ যেটির ওপেনিং ট্যাগ আছে কিন্তু ক্লোজিং ট্যাগ নেই। সাধারণত HTML এর লাইনের মাঝে ব্রেক দেওয়ার জন্য <br> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ ডোমেইন নেম আইপি অ্যাড্রেস এর পরিপূরক – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ডোমেইন নেম হচ্ছে আইপি অ্যাড্রেস এর মত স্বতন্ত্র ওয়েব অ্যাড্রেস। আইপি অ্যাড্রেসকে বিভিন্ন নম্বরের সাহায্যে চিহ্নিত করা হয় (যেমন – ১৯২.১৬৮.০.১) যা মনে রাখা সহজ নয়। অন্যদিকে ডোমেইন নেম টেক্সট ভিত্তিক হওয়ায় এটি মনে রাখা সহজ। মূলত আইপি অ্যাড্রেস এর টেক্সট ভিত্তিক অনুবাদই হচ্ছে ডোমেইন নেম। যেমন – www.microsoft.com ডোমেইনটি ২০৭.৬৯.১৩৭.৫৩ আইপি অ্যাড্রেস এর সাথে সংযুক্ত। এই ডোমেইন এর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ওয়েবসাইটটি খুঁজে পাবে। তাই বলা যায়, ডোমেইন নেম আইপি আড্রেস এর পরিপূরক।
প্রশ্নঃ “আইপি অ্যাড্রেস হচ্ছে ডোমেইন নেম এর গাণিতিক রূপ” – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ নেটওয়ার্ক তথা ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি অদ্বিতীয় নাম্বার থাকে যাকে আইপি অ্যাড্রেস বলে। সংখ্যা ভিত্তিক হওয়ায় আইপি অ্যাড্রেস সাধারণত মনে রাখা কষ্টকর। আইপি অ্যাড্রেস এর টেক্সট ভিত্তিক রূপ হচ্ছে ডোমেইন নেম যা মনে রাখা সহজ। ডোমেইন নেম ব্যবহার করে DNS সার্ভার এর মাধ্যমে যেকোনো ওয়েবসাইটের হোস্টিংকৃত ওয়েব সার্ভার এর আইপি অ্যাড্রেস পাওয়া যায়। তাই বলা যায়, আইপি অ্যাড্রেস হলো ডোমেইন নেম এর গাণিতিক রূপ।
প্রশ্নঃ আইপি অ্যাড্রেস এর চেয়ে ডোমেইন নেম ব্যবহার সুবিধাজনক – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কোনো ওয়েবসাইট আকসেস করতে হলে সেই ওয়েবসাইটের হোস্টিংকৃত ওয়েব সার্ভারের আইপি জানতে হয়। আইপি অ্যাড্রেস একটি সংখ্যা ভিত্তিক হওয়ায় তা সবার জন্য মনে রাখা কষ্টকর। এই সমস্যা দূর করার জন্য ডোমেইন নেম সিস্টেম চালু করা হয় যেখানে প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের একটি অদ্বিতীয় নাম দেওয়া হয় যা ঐ ওয়েবসাইটটির হোস্টিং সার্ভারের আইপিকে নির্দেশ করে। ডোমেইন নেম টেক্সট ভিত্তিক হওয়ায় তা মনে রাখা সহজ। বিধায় আইপি আড্রেসের চেয়ে ডোমেইন নেম ব্যবহার করা সুবিধাজনক।
প্রশ্নঃ ডোমেইন নেম এর গুরুত্ব ব্যখ্যা কর।
উত্তরঃ ডোমেইন নেম হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট এর স্বতন্ত্র টেক্সট অ্যাড্রেস বা ওয়েব অ্যাড্রেস। এই ডোমেইন নেমের মাধ্যমেই সারা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ওয়েব সাইট খুঁজে পায়। একই ডোমেইন নেম একাধিক হলে ব্যবহারকারীরা খুঁজে পাবে না। তাই ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়ার জন্য ডোমেইন নেম অদ্বিতীয় হতে হয়।
প্রশ্নঃ ওয়েবপেইজ এর সাথে ব্রাউজার সম্পর্কিত – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখার উপযোগী ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা ফাইলকে ওয়েবপেইজ বলে। আর ওয়েবপেইজ দেখার বা ব্রাউজ করার জন্য যে সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে। ব্রাউজার ছাড়া ওয়েবপেইজ প্রদর্শন করা যায় না। ওয়েবপেইজ ব্রাউজার এর উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্নঃ img একটি এম্পটি এলিমেন্ট কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ যে সকল এলিমেন্টের ওপেনিং ট্যাগ থাকলেও কোনো কনটেন্ট বা ক্লোজিং ট্যাগ থাকে না তাকে এম্পটি এলিমেন্ট বলে। img একটি এম্পটি এলিমেন্ট যার কোনো ক্লোজিং ট্যাগ থাকে না। ওয়েব পেইজ এ ইমেজ বা চিত্র যুক্ত করার জন্য <img> ট্যাগ ব্যবহৃত হয়। এতে কোনো কনটেন্ট থাকে না। তবে src অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করতে হয় যা ইমেজটির Source নির্দেশ করে। এই ট্যাগের সিনট্যাক্স হলো - <img src=”url” />।
প্রশ্নঃ img ট্যাগ কী? উদাহারণসহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ওয়েবপেইজে ছবি প্রদর্শন করার জন্য <img> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। <img> ট্যাগের সিনট্যাক্স হলো - <img src=”url” />। <img> ট্যাগের src আট্রিবিউটে url অংশে ছবির ঠিকানা নির্ধারণ করে দিতে হয়। উদাহারণঃ <img src=https://ictcoachingcentre.com/photo/logo.png />
প্রশ্নঃ ওয়েবসাইট ও ওয়েবপেইজ এক নয় – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখার উপযোগী ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা ফাইলকে ওয়েবপেইজ বলে। একই ডোমেইন এর অধীনে পরস্পর সংযোগযোগ্য একাধিক ওয়েবপেইজের সমষ্টিকে ওয়েবসাইট বলে। ওয়েবপেইজ দিয়ে তৈরি হয় ওয়েবসাইট। সুতরাং ওয়েবপেইজ ও ওয়েবসাইট এক নয়।
প্রশ্নঃ ডোমেইন নেম অদ্বিতীয় – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ডোমেইন নেম হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট এর স্বতন্ত্র টেক্সট অ্যাড্রেস বা ওয়েব অ্যাড্রেস যা ওয়েবসাইটটির হোস্টিংকৃত ওয়েব সার্ভার এর আইপি অ্যাড্রেসকে নির্দেশ করে। এই ডোমেইন নেম এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইটটি খুঁজে পাবে। তাই ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়ার জন্য ডোমেইন নেম অদ্বিতীয় হয়।
প্রশ্নঃ ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করা প্রয়োজন কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ডোমেইন নেম হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট এর স্বতন্ত্র টেক্সট অ্যাড্রেস বা ওয়েব অ্যাড্রেস। এই ডোমেইন নেমের মাধ্যমেই সারা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইট খুঁজে পাবে। একই ডোমেইন নেম একাধিক হলে ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইট খুঁজে পাবে না। তাই ডোমেইন নেমকে অদ্বিতীয় রাখতে অর্থের বিনিময়ে ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
প্রশ্নঃ হোস্টিং ওয়েবসাইট পাবলিশিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করার পর তা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করাকে ওয়েবসাইট পাবলিশিং বলে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হলে তৈরিকৃত ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত একটি ওয়েব সার্ভারে রাখতে হয় যাকে ওয়েব হোস্টিং বলে। সুতরাং ওয়েবসাইট হলো ওয়েবসাইট পাবলিশিং এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
প্রশ্নঃ ওয়েব হোস্টিং গুরুত্বপূর্ণ – ব্যাখ্যা কর অথবা হোস্টিং কেন প্রয়োজন বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করার পর তা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হলে তৈরিকৃত ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত একটি ওয়েব সার্ভারে রাখতে হয় যাকে ওয়েব হোস্টিং বলে। ওয়েব হোস্টিং না করা হলে ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রদর্শন করতে পারবে না। তাই ওয়েবসাইট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে ওয়েব হোস্টিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ ওয়েবসাইট পাবলিশিং ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ তৈরিকৃত ওয়েবসাইট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে একটি নির্ভরযোগ্য ওয়েব সার্ভারে হোস্টিং করার প্রক্রিয়া হলো ওয়েবসাইট পাবলিশিং। ওয়েবসাইট পাবলিশ করার জন্য একটি সার্ভার কম্পিউটার ও একটি পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস প্রয়োজন হয়। আইপি অ্যাড্রেস সংখ্যা ভিত্তিক বিধায় মনে রাখা কষ্টকর। এজন্য আইপি আড্রেসের পরিপূরক টেক্সট ভিত্তিক ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হয় যা মনে রাখা খুবই সহজ। এই ডোমেইন নেম ব্যবহার করেই ওয়েবসাইট পাবলিশ করা হয়।
প্রশ্নঃ ওয়েব পাবলিশিং এ হোস্টিং ও ডোমেইন বলতে তুমি কী বুঝ?
উত্তরঃ ওয়েব পাবলিশিং এর গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো হোস্টিং ও ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন। হোস্টিং হলো তৈরিকৃত ওয়েবসাইটকে কোনো ওয়েব সার্ভারে রাখা যেখান থেকে ওয়েবপেজগুলো প্রদর্শন করা হবে। ডোমেইন হলো ওয়েবসাইট এর টেক্সট ভিত্তিক ওয়েব অ্যাড্রেস যা মাধ্যমে ঐ ওয়েবসাইটটিকে এককভাবে খুঁজে পাওয়া যায়। ডোমেইন নেম হলো ওয়েবসাইট এর একক অ্যাড্রেস যার জন্য ডোমেইন নেম অর্থের বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় যাতে একই নামে একাধিক ডোমেইন নেম না হয়।
প্রশ্নঃ ওয়েব ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন এক নয় – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ওয়েবপেইজ ব্রাউজ করার জন্য যে সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় (যেমন – Google chrome, Firefox etc.) তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে। অন্যদিকে ওয়েবে কোনো তথ্য সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য যে টুলস বা সাইট ব্যবহার করা হয় ( যেমন - Google, Yahoo, Bing etc.) তাকে সার্চ ইঞ্জিন বলে। সুতরাং ওয়েব ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন এক নয়।
প্রশ্নঃ হাইপারলিংক ট্যাগের আবশ্যিক আট্রিবিউটটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ HTML পেইজ এ হাইপারলিংক করার জন্য <a> এলিমেন্টি ব্যবহার করা হয় যাকে Anchor Tag বলে। <a> এলিমেন্ট এর সিনট্যাক্স হলো - <a href=”URL”> Link Text </a>। <a> এলিমেন্ট এর ওপেনিং ট্যাগ এর href (hypertext reference) অ্যাট্রিবিউট ছাড়া <a> এলিমেন্টটি কোনো কাজ সম্পাদন করবে না। সুতরাং হাইপারলিংক ট্যাগের আবশ্যিক আট্রিবিউটটি হলো যা হাইপারলিংকৃত কনটেন্টের লোকেশনকে নির্দেশ করে।
প্রশ্নঃ ডোমেইন নেম এ www থাকে কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ www এর পূর্ণরুপ হলো World Wide Wave যা সারা বিশ্বের সমস্ত ওয়েবপেজের সংগ্রহকেই বোঝায়। অধিকাংশ ডোমেইন নেম এর শুরুতে www থাকে যার অর্থ হলো ডোমেইনটি World Wide Wave এর অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্নঃ উদাহারণসহ ওয়েব লিংক ট্যাগ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ওয়েবপেজে লিংক করার জন্য Achor Tag বা হাইপারলিংক ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। ওয়েব লিংক ট্যাগের সিনট্যাক্স হলো - <a href=https://www.shikkha.org> Visit Largest Educational Site </a>। ওয়েব লিংক এলিমেন্ট এ href অ্যাট্রিবিউটটি লিংকের গন্তব্য নির্ধারণ করে। এই হাইপারলিঙ্কটি ব্রাউজারে Visit Largest Educational Site লেখাটি লিংক হিসাবে দেখাবে। এই লিঙ্কে ক্লিক করলে শিক্ষার হোম পেজটি দেখা যাবে।
প্রশ্নঃ আইপি অ্যাড্রেস দিয়েও ওয়েবসাইট ভিজিট করা সম্ভাব কিভাবে ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করার পর তা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হলে তৈরিকৃত ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত একটি ওয়েব সার্ভারে রাখতে হয় যাকে ওয়েব হোস্টিং বলে। হোস্টিং সার্ভারের একটি আইপি অ্যাড্রেস থাকে। এই আইপি অ্যাড্রেসটি যদি আমরা ওয়েব ব্রাউজারের URL বারে লিখি তাহলে ঐ ওয়েবসাইটটির হোম পেইজ প্রদর্শন করবে। সুতরাং আমরা যদি কোনো ওয়েবসাইটের হোস্টিং সার্ভারের আইপি আড্রেস জানি তাহলে সেই ওয়েবসাইটি ভিজিট করতে পারব।
প্রশ্নঃ টেস্টিং ও ডিবাগিং এক নয় – বর্ণনা কর।
উত্তরঃ কোনো প্রোগ্রাম কোডিং সম্পন্ন করার পর প্রোগ্রামটির যে ধরনের আউটপুট হওয়া উচিত তা ঠিকমতো আসছে কিনা তা যাচাই করাকে টেস্টিং বলে। অন্যদিকে প্রোগ্রামে কোনো ভুল চিহ্নিত করে তা সমাধান করাকে ডিবাগিং বলে। সুতরাং টেস্টিং ও ডিবাগিং এক নয়।
প্রশ্নঃ অ্যাট্রিবিউট বলতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ অ্যাট্রিবিউট হচ্ছে HTML এলিমেন্টের বৈশিষ্ট্য নির্ধারক নির্দেশ যা এলিমেন্টসমূকে বাড়তি কিছু তথ্য প্রদান করে থাকে। অ্যাট্রিবিউটগুলো সবসময় ওপেনিং ট্যাগ নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকে। আট্রিবিউটের দুইটি অংশ থাকে – Attribute Name and Attribute Value। অ্যাট্রিবিউট ভ্যালুকে সব সময় উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখতে হয়। একই ট্যাগে একাধিক অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্নঃ URL এবং ডোমেইন এর মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ URL হলো Uniform Resource Locator যা ইন্টারনেটে কোনো নির্দিষ্ট রিসোর্স এর অবস্থান নির্দেশ করে। অন্যদিকে ডোমেইন হলো এর একটি অংশ যা একটি ওয়েবসাইট এর টেক্সট ভিত্তিক নাম নির্দেশ করে।
প্রশ্নঃ বর্তমানে ওয়েব পেজে হাইপারলিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ একই ওয়েবপেজের বিভিন্ন এলিমেন্টের মধ্যে বা এক পেজ থেকে আরেক পেজে অথবা এক ওয়েবসাইট থেকে আরেক ওয়েবসাইটে সংযোগ স্থাপনের জন্য হাইপারলিংক ব্যবহৃত হয়। হাইপারলিংক ব্যবহার করার কারনে আমরা খুব সহজে বিভিন্ন ওয়েব পেজ থেকে তথ্য পেতে পারি। এজন্য হাইপারলিংক বর্তমান ওয়েব পেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
প্রশ্নঃ <font> ট্যাগের আট্রিবিউটসমূহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ <font> ট্যাগের অ্যাট্রিবিউট দিয়ে সচরাচর তিনটি কাজ করা হয়।
<font face> - ফন্ট ফেইস বলতে ফন্ট ফ্যামিলিকে বুঝায়। ওয়েব পেজের টেক্সটের জন্য কোন ফন্ট ব্যবহার করা হবে তা ফন্ট ফেইস দিয়ে নির্ধারণ করতে হয়। যেমন - <font face=”Arial”>
<font size> - ওয়েবপেজে টেক্সটের ফন্ট সাইজ বিভিন্ন আকারে উপস্থাপন করার জন্য ফন্ট সাইজ ব্যবহার করা হয়। যেমন - <font size=”5”>।
<font color> - ওয়েবপেজে টেক্সটের ফন্টগুলোকে বিভিন্ন কালার করার জন্য ফন্ট কালার ব্যবহার করা হয়। যেমন - <font color=”red”>
প্রশ্নঃ HTML ফাইল সংরক্ষণ কৌশল লেখ।
উত্তরঃ HTML কোড লেখার জন্য কোনো বিশেষ এডিটর সফটওয়্যার দরকার হয় না। তাই আমরা মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর নোটপ্যাড ব্যবহার করে HTML কোড লিখতে পারি। যেকোনো এডিটরে কোড লিখে যদি ফাইল এক্সটেনশন .html/.htm দিয়ে সংরক্ষণ করি তাহলেই সেটি HTML ফাইল হবে এবং যেকোনো ব্রাউজারে ওপেন করলে HTML এলিমেন্টসমূহের আউটপুট দেখাবে।
প্রশ্নঃ ওয়েবসাইট চালু করতে কী কাজ করতে হয়?
উত্তরঃ ওয়েবসাইট চালু বা রান বা পাবলিশ করতে নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হয় –
- ওয়েবপেজ ডিজাইন করতে হয়।
- ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
- ওয়েব সার্ভারে ওয়েবসাইট হোস্টিং করতে হয়।
- সার্চ ইঞ্জিন এর সাথে ওয়েবসাইটকে সংযুক্ত করতে হয়।
প্রশ্নঃ IP Address এবং MAC Address এক নয় – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ আইপি অ্যাড্রেস হলো লজিক্যাল আড্রেস যা কোনো নেটওয়ার্কে কোনো হোস্টকে এককভাবে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, ম্যাক আড্রেস একটি ফিজিক্যাল অ্যাড্রেস যা কোনো নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস ডিভাইসকে এককভাবে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং আইপি অ্যাড্রেস ও ম্যাক অ্যাড্রেস এক নয়।
প্রশ্নঃ স্ট্যাটিক ও ডাইনামিক ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
উত্তরঃ স্ট্যাটিক ও ডাইনামিক ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলঃ
ক্রমিক নং |
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট |
ডাইনামিক ওয়েবসাইট |
১। |
ওয়েবসাইটের থিম ও কনটেন্ট নির্দিষ্ট। |
ওয়েবসাইট এর ডিজাইন ও কনটেন্ট রান টাইমে পরিবর্তিত হয়। |
২। |
দ্রুত লোড হয়। |
অপেক্ষাকৃত বেশি টাইম লাগে। |
৩। |
ডেটাবেজ ব্যবহার করে না |
ডেটাবেজ ব্যবহার করে। |
৪। |
বেশি নিরাপদ। |
তুলনামূলকভাবে কম নিরাপদ। |
প্রশ্নঃ ‘ডাইনামিক ওয়েবসাইট এর বৈশিষ্ট্যসমূহ একটু অন্যরকম’ – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এর ডিজাইন ও কনটেন্ট রান টাইমে পরিবর্তিত হয় না কিন্তু ডাইনামিক ওয়েবসাইটের ডিজাইন ও কনটেন্ট রান টাইমে পরিবর্তিত হয়। তাছাড়া স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটে ডেটাবেজ ব্যবহৃত হয় না কিন্তু ডাইনামিক ওয়েবসাইটে ডেটাবেজ ব্যবহৃত হওয়ায় কুয়েরি করে তথ্য বের করার সু্যোগ থাকে। সুতরাং স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের তুলনায় ডাইনামিক ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্যসমূহ একটু আলাদা।
প্রশ্নঃ 192.160.13.17 ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ 192.160.13.17 একটি ডটেড ডেসিমেল নাম্বার। সুতরাং এটি একটি IPv4 এর অ্যাড্রেস যা নেটওয়ার্কে একটি হোস্টকে এককভাবে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। প্রথম অক্টেডের ভ্যালু ১৯২ – ২২৩ এর মধ্যে হওয়ায় এটি Class C এর একটি IP Address যার নেটওয়ার্ক ও হোস্ট এর বিশ্লেষণ নিম্নরুপঃ
- 192.168.13 হলো নেটওয়ার্ক আইডি
- .17 হলো হোস্ট আইডি
প্রশ্নঃ হোমপেজ এর উপর নির্ভরশীল ওয়েবসাইট কাঠামোটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ হোমপেজ এর উপর নির্ভরশীল ওয়েবসাইট কাঠামোটি হলো ট্রি বা হায়ারার্কিক্যাল কাঠামো। এতে ব্যবহারকারী প্রথমে হোমপেজে প্রবেশ করে সাব-মেনু ও অন্যান্য পেজে যেতে পারে। তথ্য উপস্থাপনে এটি সবচেয়ে সহজ ও উত্তম।
প্রশ্নঃ URL টি ব্যাখ্যা কর – https://www.abc.com/help/admmission.php
উত্তরঃ এটি একটি কোম্পানির ওয়েবসাইট যার ব্যাখ্যা নিম্নরুপ –
- https:// দ্বারা বোঝানো হচ্ছে ওয়েব প্রটোকল।
- www.abc.com হচ্ছে URL এর ডোমেইন নেম যেখানে .com দ্বারা কম্পানির ওয়েবসাইট নির্দেশ করছে।
- help দ্বারা ডিরেক্টরি পাথ বোঝানো হয়েছে।
- Admission.php দ্বারা ফাইল নেম ও ফাইল এক্সটেনশন বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্নঃ ওয়েবসাইট তথ্য প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখার উপযোগী ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত সার্ভারে রাখা ফাইলকে ওয়েবপেজ বলে। এক বা একাধিক ওয়েবপেজ এর সমন্বয়ে ওয়েব প্রেজেন্টেশন বা ওয়েবসাইট তৈরি হয়। অনলাইনের মাধ্যমে তথ্য যত তাড়াতাড়ি ছড়ানো যায় অফলাইনের মাধ্যমে তত তাড়াতাড়ি ছড়ানো সম্ভম নয়। আর অনলাইনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো ওয়েবসাইট। সুতরাং ওয়েবসাইট তথ্য প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
প্রশ্নঃ fe80:4a2C:a0ff:feb6:e76a এবং 192.168.10.10 এর মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ fe80:4a2C:a0ff:feb6:e76a হলো IPv6 Address এবং 192.168.10.10 হলো IPv4 Address। IPv4 এবং IPv6 এর মূল পার্থক্য হলো IPv4 হলো ৩২ বিট আর IPv6 হলো ১২৮ বিট। এছাড়া IPv4 হলো রাউটেবল কিন্তু IPv6 রাউটেবল না।
প্রশ্নঃ ওয়েব পেজ তৈরির জন্য বিশেষ এডিটর প্রোগ্রাম প্রয়োজন হয় না – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ওয়েবপেজ তৈরির জন্য HTML ব্যবহার করা হয়। এটি কেস সেন্সিটিভ নয়। এজন্য যেকোনো এডিটরে এটি লেখা যায় এবং শুধুমাত্র ফাইল এক্সটেনশন .html/htm থাকলে সে ওয়েবসাইটটি ব্রাউজারে রান করে। এজন্য ওয়েবপেজ তৈরির জন্য বিশেষ এডিটর প্রয়োজন হয় না।
প্রশ্নঃ নতুন তৈরি ওয়েবসাইট পৃথিবীর যে কোন স্থানে পৌঁছানোর উপায় ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ওয়েবসাইট পাবলিশিং এর মাধ্যমে নতুন তৈরি ওয়েবসাইট পৃথিবীর যে কোন স্থানে পৌছানো যায়। ওয়েবসাইট পাবলিশিং এর জন্য প্রথমে ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এরপর প্রধান কাজ ওয়েবসাইট হোস্টিং করা। ওয়েবসাইট হোস্টিং করার পর সেটি পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে অ্যাক্সেস করা যায়।
প্রশ্নঃ স্টাইল ট্যাগ ও স্টাইল অ্যাট্রিবিউটের মধ্যে উদাহারণসহ তুলনা কর।
উত্তরঃ ওয়েবপেজে বিভিন্ন এলিমেন্ট এর স্টাইল করার জন্য স্টাইল ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। স্টাইল ট্যাগ head সেকশনে লিখতে হয়। এটির গঠন নিম্নরুপঃ
<style>
h1{
color: red;
}
</style>
অপরদিকে। স্টাইল অ্যাট্রিবিউট দ্বারা ঐ ট্যাগের অন্তর্ভুক্ত কনটেন্টকে স্টাইল করা হয়। যেমন - <p style=”color:red”> Welcome </p>
প্রশ্নঃ সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ সার্চ ইঞ্জিন মূলত তিনটি ধাপে কাজ করে। প্রথমত ক্রলিং এর মাধ্যমে ওয়েবপেজ খুঁজে বের করে। দ্বিতীয়ত ক্রলিং এর মাধ্যমে খুঁজে বের করা ওয়েবপেজগুলো সার্চ ইঞ্জিনে সংরক্ষণ করে র্যাংকিং এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করে। তৃতীয়ত, ওয়েবপেজগুলোকে কুয়েরী অনুযায়ী খুঁজে বের করতে র্যাংকিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে।
প্রশ্নঃ ডোমেইন এর প্রকারভেদ আলোচনা কর।
উত্তরঃ ডোমেইন প্রধানত দুই প্রকার –
TLD (Top Level Domain) – TLD তে ডোমেইন এর দুইটি অংশ থাকে। ডট এর পূর্বের অংশকে ডোমেইন নেম এবং ডট এর পরের অংশকে টপ লেভেল ডোমেইন বলা হয় যা ডোমেইন এর ধরণ নির্দেশ করে।
CCTLD (Country Code Top Level Domain) – ওয়েব অ্যাড্রেস এর একবারে শেষের অংশ যা ওয়েবসাইটটি কোন দেশের তা নির্দেশ করে।
মোঃ আবু সাঈদ
প্রভাষক (আইসিটি)
একজন দক্ষ, উদ্ভাবনী এবং প্রযুক্তি-বান্ধব আইসিটি শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তি জ্ঞানের বিকাশ এবং ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিবেদিত। কম্পিউটার বিজ্ঞান, প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল লিটারেসি এবং আধুনিক সফটওয়্যার/হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানে অভিজ্ঞ। শিক্ষার্থীদের বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী উপযোগী পাঠ পরিকল্পনা তৈরি এবং বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনায় দক্ষ। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং, গুগল ও মাইক্রোসফট অ্যাপ্লিকেশন, PHP, C/C++, JavaScript, পাইথন, এইচটিএমএল/সিএসএস সহ বিভিন্ন ডিজিটাল টুল ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে পারদর্শী।
সাজানো-গুছানো এবং কোয়ালিটিফুল ক্লাস কন্টেন্ট দ্বারা অফলাইন অথবা অনলাইনে এইচএসসি ও আলিম শিক্ষার্থীদের আইসিটি কোচিং করানো হয়।
শিক্ষার্থীদের সুসংগঠিত এবং গুণগত ক্লাস কন্টেন্ট যা পরীক্ষার ভাল ফলাফল এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেয়।
কপিরাইট © 2025 - 2025 Poralekha24.com. All rights reserved.